IPL 2025, LSG: ভারতের কিংবদন্তি ত্রয়ীর অবসর, শুরুটা হয়েছিল যেখান থেকে…
Lucknow Super Giants: টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অশ্বিনদের। সেটা তাঁরা ইচ্ছেতে নিয়েছেন না বাধ্য করা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে যেখান থেকে এই ভাঙনের শুরু হয়েছিল, সেই পেসারের কথায় ফেরা যাক।

ভারতীয় ক্রিকেটে ভাঙন ধরিয়েছিলেন! বলাই যায়। ঘরের মাঠে প্রথম বার নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ হারে ভারত। হ্যাঁ, গত সিরিজটার কথাই বলা হচ্ছে। দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন কিউয়ি পেসার উইল ও’রুরকি। বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্ট হারের পরই পরিকল্পনা বদলান গৌতম গম্ভীর। বাকি দুই টেস্টে টার্নিং পিচ বানানো হয়। আর নিজেদের ফাঁদেই ভরাডুবি ভারতের। এরপর বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে হার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের হ্যাটট্রিক হয়নি। এর ফল! টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অশ্বিনদের। সেটা তাঁরা ইচ্ছেতে নিয়েছেন না বাধ্য করা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে যেখান থেকে এই ভাঙনের শুরু হয়েছিল, সেই পেসারের কথায় ফেরা যাক।
সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছিল আইপিএল। শনিবার শুরু হয়েছে আইপিএলের বাকি অংশ। আইপিএলের সূচি বদল হওয়ায় অনেক বিদেশিকেই পাওয়া যাবে না। তেমনই চোটও রয়েছে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের পেসার মায়াঙ্ক যাদব চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে সই করানো হয় তরুণ পেসার উইলকে।
জন্ম ইংল্যান্ডে। তারপর চলে আসেন নিউজিল্যান্ডে। পরিবারের সঙ্গে ক্রিকেটের সম্পর্ক দীর্ঘ। উইলের বাবা প্যাডি ও’রুরকি ওয়েলিংটনের ফাস্ট বোলার। বেশ নাম ডাক ছিল। তাঁর কাকা ম্যাথিউ অকল্যান্ড সিনিয়র টিমের হয়ে ছাপ রেখেছিলেন। অল্প বয়সেই উইলের জীবনেও ক্রিকেট আসে। এবং অকল্য়ান্ডের হয়ে বয়সভিত্তিক ম্যাচ খেলতেন।
ধুমকেতুর মতো তাঁর উত্থান। দ্রুতই নির্বাচকদের নজরে পড়েন। বার্নসাইড ওয়েস্ট ক্রাইস্টচার্চ ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলায় ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্য়ান্ডের স্কোয়াডে তাঁর জায়গা হয়। পরের বছরই নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেন এবং দুর্দান্ত পারফর্মও করেছিলেন। এরপর একাধিক সিরিজ, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট, লিস্ট এ ক্রিকেটে ধারাবাহিক হয়ে ওঠেন।
২০২৪ সালে ও’রুরকির সফলতা অন্য উচ্চতায় পৌঁছোয়। যখন সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ডেবিউ করতে নামেন তিনি। প্রথম ইনিংসে চার এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে সাউথ আফ্রিকার ব্যাটিং ইউনিটকে ধুলিস্যাৎ করেন। কয়েক মাস পরই ভারতে আসেন। প্রথম টেস্টে ৭ উইকেট নেন। পরের দুই টেস্টে স্পিন সহায়ক পিচ হওয়ায় তাঁকে আর বিশেষ কিছু করতে হয়নি। নিউজিল্যান্ড প্রথম বার ভারতকে ভারতের মাটিতে ক্লিনসুইপ করে ইতিহাস গড়ে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেশের জার্সিতে সীমিত সুযোগ পেয়েছেন। সার্বিক ভাবে টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স মন্দ নয়। বিশেষ করে ৮-এর কম ইকোনমি প্রশংসনীয়। আইপিএলে প্রথম সুযোগ পেয়েছেন। প্লে-অফে যাওয়ার কঠিন অঙ্কে রয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। একাদশে কি সুযোগ পাবেন উইল ও’রুরকি। লখনউয়ের ভরসা হয়ে উঠতে পারবেন? এত প্রশ্নের উত্তর পরে মিলবে। কিন্তু লখনউ যেন বলতেই পারে, Where there is a will, there is a way…।
