ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা অকশন শেষ। প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজিই নিজেদের মতো দল গুছিয়ে নিয়েছে। মেগা নিলাম। সময় সাপেক্ষ প্রত্যাশিতই ছিল। দু-দিন ধরে চলেছে এ বারের মেগা অকশন। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫৭৪ জন ক্রিকেটার রেজিস্টার করলেও ফাইনাল লিস্টে জায়গা হয়েছিল মাত্র ৫৭৪ জনের। শেষ মুহূর্তে যোগ করা হয়েছিল আরও তিনজনকে। অর্থাৎ ৫৭৭ জন। যদিও সকলেই যে জায়গা পেলেন তা নয়। তালিকায় প্রথম প্রায় ১১৬ জনের পরই ঝোড়ো গতির অকশন। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে নাম মনোনিত করা এবং অকশন। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার একেবারে শেষ ধাপে নিলামে মুম্বই তেন্ডুলকর। কে এই ক্রিকেটার?
জেড্ডায় মেগা নিলামে অকশনার হিসেবে ছিলেন মল্লিকা সাগর। তাঁকে নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কও হয়েছে। তবে মজার ঘটনাও হল। অ্যাকসেলারেশন রাউন্ড খুবই কঠিন। একঝাঁক নাম, দ্রুত ডাকা। কোন টিম বিড করছে নজর রাখা। একটু এদিক-ওদিক হলেই আবার বিতর্ক। নিলামে একঝাঁক ক্রিকেটার অবিক্রিত থাকার পর প্রতিটি টিমের কাছে নাম মনোনিত করতে বলা হয়। সেই তালিকাও দীর্ঘ ছিল। অবিক্রিত ছিলেন সচিন-পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকর।
গত কয়েক মরসুম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেই ছিলেন অর্জুন। ২০২২ সালের আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল। হাতে গোনা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এ বছরও দল পাচ্ছিলেন না। নিলামে বেশ কয়েক রাউন্ডের পর একেবারে শেষে ১২ জনের নাম মনোনিত করে ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলি। এই তালিকায় ছিল অর্জুন তেন্ডুলকরের নামও। প্রথমে ডাকা হয় কুণাল রাঠোরের নাম। তাঁকে বেস প্রাইস ৩০ লক্ষ টাকায় নেয় রাজস্থান রয়্যালস। দ্বিতীয় নামটাই ছিল অর্জুন তেন্ডুলকর।
অর্জুনের নাম ডাকার সঙ্গে সঙ্গেই ৩০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসে ওপেনিং বিড করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেখানেই গণ্ডগোল। অর্জুন তেন্ডুলকরের জন্য বিড করেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাড়াহুড়োয় মল্লিকা সাগর বাকি টিম গুলোকে অ্যালার্ট করেন ‘মুম্বই তেন্ডুলকর’-এর জন্য ওপেনিং বিড হয়েছে। অর্জুন তেন্ডুলকর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মিলে হয়ে দাঁড়ায় মুম্বই তেন্ডুলকর। হাসির রোল উঠলেও দ্রুতই ক্ষমা চেয়ে নেন মল্লিকা। আসলে সচিন তেন্ডুলকর নামটা বিশ্ব ক্রিকেটেই এত ভারী। তাঁর ছেলের নাম বলতে গেলে সচিনের নাম উঠবে। আর তেন্ডুলকর শুনলে প্রথমে ক্রিকেট ঈশ্বরের প্রসঙ্গই আসে। অর্জুনের ক্ষেত্রেও এমন কিছু হয়েই ভুলে মুম্বই তেন্ডুলকর। শেষ অবধি ৩০ লক্ষ বেস প্রাইসে তাঁকে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই।