দীপঙ্কর ঘোষাল : রিয়ান পরাগ আউট হতেই শান্ত গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়াম। ঘরের ছেলে আউট হয়েছে বলেই নয়, জেতার আশাও কমছে। শিমরন হেটমায়ারের সঙ্গে ইমপ্য়াক্ট পরিবর্ত হিসেবে নামা ধ্রুব জুড়েলের বিধ্বংসী ইনিংস। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সঞ্জু স্য়ামসনরা। রাজস্থান রয়্যালস হোম ম্য়াচ খেলছে গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে। রাজস্থান টিমের রিয়ান পরাগের কাছেও হোম ম্য়াচ। বোলিংয়ে ব্য়বহার করা হয়নি রিয়ানকে। ফলে ব্য়াটিংয়ে তাঁকে ঘিরে বাড়তি প্রত্য়াশা ছিল। দল যখন বেকায়দায়, দারুণ শুরু করেন রিয়ান। একটা বড় ইনিংসের দিকেই এগোচ্ছিলেন। ১২ বলে ২০ রানে ফেরেন তিনি। এর পরই ক্রমশ ম্যাচের রাশ পঞ্জাবের হাতে। সেখান থেকে ম্য়াচ ঘুরবে, এমনটা হয়তো অনেকেই প্রত্য়াশা করেননি। যদিও জয়ের সীমানা পার হতে পারল না রাজস্থান। শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল। স্যাম কারানের বুদ্ধিদীপ্ত লাস্ট ওভার। মাত্র ৫ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ধাওয়ানদের। রাজস্থান রয়্যালস বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, কোথায় ম্যাচ হারাল রাজস্থান? শুরু থেকেই ব্যাক ফুটে ছিল তারা। সৌজন্যে প্রভসিমরন সিংয়ের ঝোড়ো ইনিংস, শিখর ধাওয়ান। টস হেরে ব্যাট করতে নামে পঞ্জাব। গত ম্যাচে ভালো শুরু দিতে পারেননি প্রভসিমরন। এ দিন শক্ত ভিত গড়ে দেন। শুরুর দিকে শিখর ধাওয়ানের মন্থর ব্যাটিং। স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। প্রভসিমরন ক্রিজে থাকায় ধাওয়ান ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন। শেষ অবধি ৫৬ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। প্রভসিমরন করেন ৩৪ বলে ৬০ রান।
লক্ষ্য বড়, ক্যাচ নিতে গিয়ে চোট পান জস বাটলার। ফলে যশস্বীর সঙ্গে অশ্বিনকে ওপেন করায় রাজস্থান। বাটলার তিনে নামেন। অশ্বিন প্রথম বার ওপেন করছেন, তা নয়। এই ম্যাচে ছাপ ফেলতে পারলেন না। পাওয়ার প্লে-তেই দুই ওপেনার এবং বাটলারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রাজস্থান। তবে সঞ্জু স্যামসন, দেবদত্ত পাডিকাল, শিমরন হেটমায়ার এবং ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা ধ্রুব জুড়েল মরিয়া চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে ১৬ রানও সহজ মনে হচ্ছিল রাজস্থানের জন্য। স্যাম কারান প্রথম তিন ওভারে প্রচুর রান দিলেও শেষ ওভারে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করেন। নাথান এলিস ৪ উইকেট নিয়ে ছাপ ফেলেন।