কষ্টার্জিত জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ম্যাচটা শেষ ওভারে জিততে হবে, শুরু দেখে অবশ্য মনে হয়নি। দিল্লির মাঠে হাইস্কোরিং ম্যাচ হয়। ব্যাটিংয়ে দিল্লির শুরুটা ভালো না হওয়ায় চাপ বাড়ছিল। তরুণ ওপেনার অভিষেক পোড়েল ও শেষ দিকে ত্রিস্তান স্টাবসের বিধ্বংসী ইনিংসে লখনউকে ২০৯ রানের টার্গেট দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা অভিজ্ঞ পেসার ইশান্ত শর্মার অনবদ্য বোলিং। মাত্র ৭১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল লখনউ। নিকোলাস পুরান ও শেষ দিকে আর্শাদ খানের অবিশ্বাস্য লড়াই। শেষ ওভারে ১৯ রানের কষ্টার্জিত জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। নেট রান রেটে অনেকটা পিছিয়ে থাকায়, প্লে-অফের দৌড়ে জটিল অঙ্কে টিকে রইলেন ঋষভ পন্থরা।
আর্শাদ খানের অনবদ্য লড়াইয়ে শেষ দু-ওভারে লখনউয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯ রান। যদিও উইকেট না থাকায় চাপ ছিলই। দিল্লি ক্যাপিটালসের স্লগ ওভার বোলিং দুর্দান্ত। এই ম্যাচে প্রবল চাপ তৈরি করেন আর্শাদ খান। কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল হাফসেঞ্চুরি মাত্র ২৫ বলে। উল্টোদিকে রবি বিষ্ণোই। তাঁকে স্ট্রাইকে রাখাই লক্ষ্য ছিল দিল্লির। আর্শাদ যে মেজাজে ব্যাট করছিলেন, তাঁর স্ট্রাইকে থাকা মানে লখনউয়ের জেতার সুযোগ অনেক অনেক বেশি। ১৯তম ওভারে মুকেশ কুমারের প্রথম দুটি ডেলিভারিতেই সিঙ্গল। তৃতীয় ডেলিভারিতে ডাবল নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট রবি বিষ্ণোই। শেষ উইকেটে আর্শাদ ও নবীন উল হকের লড়াই।
মুকেশের ১৯তম ওভারে মাত্র ৬ রান আসে। ফের চাপ তৈরি হয় লখনউ শিবিরে। শেষ ওভারে ২৩ রান প্রয়োজন ছিল লখনউয়ের। স্ট্রাইকে আর্শাদ খানের থাকাটাই ভরসার। শেষ ওভারে বোলিংয়ে তরুণ পেসার রশিক দার। প্রথম বলে সিঙ্গল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি আর্শাদ। শেষ উইকেট হওয়ায় তাঁকেই দায়িত্ব নিতে হত। পরের বলে ডাবল নিয়ে ফের স্ট্রাইকে। ৪ বলে ২১ রান। ম্যাচ পুরোপুরি দিল্লির নিয়ন্ত্রণে ছিল না। তৃতীয় ডেলিভারিতে আর্শাদ সিঙ্গল নিতেই স্বস্তি দিল্লি শিবিরে। বাকি তিন বলে ২০ রান সম্ভব ছিল না।