ঘরের মাঠে বদলা। দিল্লিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ঋষভ পন্থদের। এ বারও শেষ ওভারেই। প্রথম লেগের ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে স্বস্তির জয় পেয়েছিল মুম্বই। হারের হ্যাটট্রিকের পর জয়ের অক্সিজেন। দিল্লির কাছেও ঘরের মাঠে বদলার ম্যাচ ছিল। বদলা যেমন পূর্ণ হল তেমনই মূল্যবান ২ পয়েন্ট। বোর্ডে বিশাল রান থাকলেও এখন যে কোনও ম্যাচই আর এক তরফা হবে না, তা যেন গত রাতে ইডেনেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেও শেষ ওভারে জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের।
নতুন তারকা জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুকের বিধ্বংসী ইনিংস, বাকিদের অবদানে মুম্বইকে ২৫৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এই রানও কঠিন নয়। অন্তত পঞ্জাবের রেকর্ড জয়ের পর তো নয়ই। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলিং নিয়মিত ভরসা দিচ্ছেন। সেটাই স্বস্তি ছিল ঋষভ পন্থের। পরিস্থিতি যেমনই হোক, তাঁর বোলাররা শেষ মুহূর্তে মিরাকল করবেন, এমনটাই যেন মনে করেন ঋষভ। তাঁর ভাবনা ভুল নয়।
শুরুতেই মুম্বই ব্যাটিংয়ের চাপ বাড়ান খলিল আহমেদ। রোহিত শর্মার বড় উইকেট তাঁর ঝুলিতে। আর এক ওপেনার ঈশান কিষাণও ভরসা দিতে পারেননি। ইমপ্যাক্ট হিসেবে নামা সূর্যকুমার যাদবও ব্যর্থ। মুম্বইকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন তরুণ বাঁ হাতি ব্যাটার তিলক ভার্মা। ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া ২৪ বলে ৪৬ ও টিম ডেভিড ১৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেললেও দলকে জেতানোর মতো পারফর্ম করতে পারেননি। তিলক ক্রিজে থাকায় তবুও জয়ের স্বপ্ন দেখছিল মুম্বই।
শেষ ওভারে ২৫ রানের টার্গেট দাঁড়ায় মুম্বইয়ের। জয়ের তিলক পড়বে নাকি দিল্লিকে জেতাবে মুকেশ! পরিস্থিতি ছিল এমনই। তিলকের ব্যাটিং সঙ্গী তখন পীযুষ চাওলা। যিনি আগের ওভারেই ছয় মেরে ভরসা দিয়েছিলেন। লড়াইটা রুদ্ধশ্বাস হয়ে ওঠে। তবে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে তিলক আউট হতেই দিল্লির জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। লুক উড ছয় মেরে ভরসা দিলেও ততক্ষণে হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোনও পরিস্থিতি ছিল না। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান তোলে মুম্বই। ১০ রানে জয় দিল্লির।