নয়াদিল্লি: বোমা আর বারুদের গন্ধে প্রায়শই অশান্ত হয়ে ওঠে ভূস্বর্গ। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই কড়া নিরাপত্তার বলয়ে রয়েছে কাশ্মীর। মাঝে সাঝেই গ্রাস করে আতঙ্ক। এ সবের মধ্য়েই ভারতের ‘জন্নত’ ঢুকে পড়েছে আলোচনায়। প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপহার কাশ্মীর। সেই কাশ্মীরেই এ বার হতে পারে বিশ্বকাপের ম্যাচ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে তেমনই খবর। ৩৭ বছর পর কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা ভূস্বর্গে। ১৯৮৬ সালে শেষবার জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ একদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ৩ উইকেটে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। অপরাজিত ৯০ রানের ইনিংসে সেই ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন অ্যালান বর্ডার। তার আগে ১৯৮৩ সালের ১৩ অক্টোবর ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে একটি একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
প্রথম বার একক ভাবে ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ভারত। এর আগেও আইসিসির ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে এ দেশে। ১৯৮৭ সালে প্রথম বার বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ভারতে। তবে ভারত ছাড়াও যৌথ ভাবে সেই কাপ আয়োজনের দায়িত্বে ছিল প্রতিবেশী পাকিস্তান। একই ভাবে ১৯৯৬ আর ২০১১ বিশ্বকাপ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভাগ করে নেয় ভারত। তবে এ বছরই একক ভাবে ওয়ান ডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গাতেই বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই তার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। কলকাতা ছাড়াও মুম্বই, দিল্লি, আমেদাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মোহালির মতো জায়গাগুলো বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের অন্যতম দাবিদার। বেশ কিছু ছোট শহরকেও বেছে রেখেছে বোর্ড। তবে একই সঙ্গে হয়তো কর্তাদের ভাবনায় রয়েছে কাশ্মীরও।
শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে পারে বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচ। জম্মু ও কাশ্মীরের এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তেমনই দাবি। অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের মাটিতে হবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এখনও বিশ্বকাপের সূচি বা ভেনু নির্ধারণ হয়নি। তবে ভূস্বর্গে বিশ্বকাপের মতো ম্যাচ প্রথম বার অনুষ্ঠিত হলে, তা অবশ্যই বোর্ডের বড় পদক্ষেপ হবে। এর জন্য দরকার আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। ৩৭ বছর পর ক্রিকেটের হাত ধরে ভূস্বর্গে স্বস্তি ফেরে কিনা, সেটা সময়ই বলবে!