প্রথম ইনিংস লিড। যেটা এই সিরিজে ভারতীয় শিবিরে মহামূল্যবান। মুম্বই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেটাই নিয়েছে ভারত। সৌজন্যে শুভমন গিল। ওয়াংখেড়ের কঠিন পরিস্থিতিতে অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেছেন শুভমন। অল্পের জন্য কেরিয়ারের আরও একটা টেস্ট সেঞ্চুরি অবশ্য মিস হয়েছে। টিমের জন্য তাঁর অবদান ম্যাচের রং বদলে দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ঋষভ পন্থের সঙ্গে দুর্দান্ত একটা জুটি গড়েছিলেন। ওয়াংখেড়ে টেস্ট জিতে ক্লিনসুইপ আটকাতে ভারতকে কত রান তাড়া করতে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। এখনও অবধি ১৪৩ রানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ জিততে কী প্রয়োজন? সহজ করে বোঝালেন শুভমন গিল।
এখনও অবধি যা পরিস্থিতি, তৃতীয় দিনের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের এক উইকেট দ্রুত তুলে নিতে পারলে ভারতের টার্গেট দাঁড়াবে ১৫০-র মতো। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ভারতকে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভমন গিল বলেন, ‘ম্যাচ জেতার সহজ পরিস্থিতি, একটা ভালো পার্টনারশিপ। ১৫০-১৬০ এর মতো টার্গেট তাড়া করতে হলে একটা ৭০-৮০ রানের পার্টনারশিপ প্রয়োজন। সেখানেই ম্যাচ পকেটে চলে আসবে। ফিল্ডিং টিমের ক্ষেত্রে বলতে পারি, ৭০-৮০ রানের পার্টনারশিপ হলে এমনিতেই ওদের কাঁধ ঝুঁকে যাবে।’
পুনেতে টার্নিং ট্র্যাকে প্রবল সমস্যায় পড়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং। মুম্বইতেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় দিন শুভমন গিল-ঋষভ পন্থ জুটি ভাঙন আটকে দেয়। ৯০ রানের অনবদ্য ইনিংস শুভমনের। ৬০ রান করেন পন্থ। ঘূর্ণি পিচে সাফল্য। কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। প্রস্তুতি নিয়ে শুভমন বলছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে আমার অন্যতম সেরা ইনিংস বলা যেতেই পারে। ঘরের মাঠে গত ইংল্যান্ড সিরিজের আগে যে ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, এই সিরিজের আগেও সেটা করেছি। স্পিনারদের সামলাতে কী মনোভাব হওয়া উচিত, টেকনিক সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।’