কলকাতা: তিন টেস্টের তথ্য যা বলছে, জসপ্রীত বুমরার ধারেকাছে নেই কেউ। পারথ, অ্যাডিলেড ও ব্রিসবেন মিলিয়ে জসপ্রীত বুমরা একা নিয়েছেন ১৮টি উইকেট। ভারতের বাকি পেসাররা মিলিত ভাবে নিয়েছেন ১৯ উইকেট। এর থেকেই ভারতীয় বোলিংয়ের হাল পরিষ্কার বোঝা যায়! ব্রিসবেনে প্রথম ইনিংসের কথাই ধরা যাক। প্রতিপক্ষর ১০টি উইকেটের মধ্যে বুমরা একাই নিয়েছেন ৬টি। বাকি চারটির মধ্যে সিরাজ ২, নীতীশ রেড্ডি ও আকাশ দীপ ১টি করে। এও পরীক্ষিত, বুমরার স্পেল শেষ হলেই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা ছন্দে ফিরছেন। খুনখারাপি ব্যাটিং করে যাচ্ছেন। অ্যাডিলেডের মতো ব্রিসবেনেও সেঞ্চুরি করেছেন ট্রাভিস হেড। ১৮ মাস পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ায় কি ভারতীয় বোলিংয়ের সঙ্কট ফুটে উঠছে? বুমরার তা মনে হচ্ছে না। উল্টে তিনি বলছেন অন্য কথা।
বুমরা বলে দিচ্ছেন, ‘এটা করা উচিত ছিল বলে, আমরা একে অপরের দিকে আঙুল তুলতে চাই না। বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমি বাকিদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি। ওরা দ্রুত পরিণত হয়ে উঠবে। সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়াটাই তো লক্ষ্য। আমাদের ১১জন প্লেয়ার রয়েছে। আমিই সব করছি, তা বলা যাবে না। এটা নতুন টিম। প্রত্যেককেই নিজের খেলাটা শিখতে হবে, উন্নতি করতে হবে। এটাই তো টিম হিসেবে যাত্রা আমাদের।’
চোটের কারণে মহম্মদ সামি খেলতে পারেননি। ভারতীয় দলে বুমরার পর সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার মহম্মদ সিরাজ। হর্ষিত রানা, আকাশ দীপরা এখনও নতুন। সিরাজের কাছ থেকে যে পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা দেখা যায়নি। বুমরা বলছেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলি সব সময়। সিরাজ কিন্তু শুরুতে ভালোই বল করছিল। কিন্তু সামান্য চোট পেয়েছে। তাও বল করে যাচ্ছে। সিরাজের এই লড়াকু মানসিকতাটা কিন্তু সবাই অত্যন্ত পছন্দ করে। একদিন কেউ ভালো বল করে, উইকেট পায়। একদিন খারাপ করে। এটা কিন্তু সিরাজকে আমি আগেও বলেছি। ও কিন্তু যথেষ্ট ভালো বোলিং করছে।’