মুম্বই: আজ টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত (India)। নিয়মরক্ষার ম্যাচ। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে, রবিবারই। কিন্তু যে দলটাকে সবাই সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখছিল, তাদের এই অবস্থা হল কেন? ক্রিকেটমহলের বিশ্লেষণে উঠে আসছে নানা কারণ। বিশ্বজয়ী অধিনায়ক প্রাক্তন অধিনায়ক কপিল দেব (Kapil Dev) এ বার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) ও ভারতীয় দল, দু’পক্ষকেই দায়ী করলেন। কপিলের আক্রমণের মূল তির আইপিএলের দিকে। তাঁর মতে, ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে খেলার থেকেও আইপিএলকে (IPL) বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। পাশাপাশি বোর্ডও ক্রিকেটারদের কথা না ভেবে একের পর এক টুর্নামেন্টের আয়োজন করে চলেছে বা সম্মতি দিয়ে চলেছে। যা ক্রিকেটারদের মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ক্লান্ত করে তুলছে।
বরাবরের স্পষ্ট বক্তা কপিল বলেছেন, ”ক্রিকেটারদের উচিত দেশের হয়ে খেলে গর্বিত হওয়া। আমি আর্থিক দিকটা জানি না, তবে কোথাও মনে হচ্ছে সবাই দেশের হয়ে খেলার থেকেও আইপিএলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমার মতে, আগে দেশের ক্রিকেট, তারপর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। আমি বলছি না আইপিএল খেলার দরকার নেই। তবে বোর্ডের দায়িত্ব একটা সঠিক সূচি তৈরি করা।”
এই প্রশ্নটা যে শুধু কপিল তুলছেন তা নয়, অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ সবার মতেই আইপিএল এবং বিশ্বকাপের মাঝে অন্তত ১৫ দিনের একটা বিরতির প্রয়োজন ছিল। আইপিএলে নাম লেখালে একজন ক্রিকেটারকে খেলতেই হবে। ভারতের প্রথম দলের ক্রিকেটারদের আইপিএলের মঞ্চে না খেলার কোনও উপায় নেই। বিরাট-রোহিত-রাহুলরা যেমন নেতৃত্ব দেন তেমনই দলগুলির ব্র্যান্ড ভ্যালুও নির্ভর করে তাঁদের ওপর। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের মাঠের বাইরে থাকতে দেবেন না। বিদেশি ক্রিকেটাররে যেমন নিজেদের ইচ্ছেয় আইপিএল থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন সেটা ভারতের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। কারণ তাঁরাই টুর্নামেন্টের মূল আকর্ষণ।
কপিল যেমন মনে করেন, এই বিষয়ে বোর্ডের দায়িত্ব সব থেকে বেশি, সেটাই হয়তো আসল সত্যি। বিরাটরা বিশ্বকাপে ভালো খেলতে পারেননি। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুটো ম্যাচেই হারের মুখে দেখতে হয়েছে তাদের। কিন্তু এটাও তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে বিরাট-রোহিত-বুমরা-সামিরা সেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার জন্য দেশ ছেড়েছিলেন। তারপর থেকে খেলেই চলেছেন তাঁরা। তার সঙ্গে আছে বায়ো বাবলের মানসিক ক্লান্তি। সব মিলে ক্রিকেটাররা যে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে আছেন সেটাও অস্বীকার করা যায় না। টেস্ট, একদিনের ম্যাচ, টি-২০ সব ধরণের ক্রিকেট টানা খেলতে হয়েছে রোহিতদের। বিশ্বকাপের আগে দিন ১৫ বা ২০’র বিরতী সত্যিই হয়তো মানসিক ভাব কিছুটা চাঙ্গা করতে পারত। বোর্ডের এই বিষয়ে নিশ্চই ভাবা উচিত।
আরও পড়ুন : Mustaq Ali T20: সার্ভিসেসকে উড়িয়ে সুদীপদের ফোকাসে ময়াঙ্ক-দেবদত্তদের কর্ণাটক