IPL 2024, RCB vs LSG: রাজধানী এক্সপ্রেসের গতি বেড়েই চলেছে, নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন মায়াঙ্ক যাদব
Royal Challengers Bengaluru vs Lucknow Super Giants: এক বছর আগেই আইপিএলের মঞ্চে দেখা যেতে পারতো গতির পূজারি মায়াঙ্ক যাদবকে। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে চোট, পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে দিয়েছিল। এ বার অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে অভিযান আইপিএল অভিযান শুরু করেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথম ম্যাচে হার। দেখা যায়নি মায়াঙ্ককে। ঘরের মাঠ গত ম্যাচে তুরুপের তাস বের করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অভিষেক মায়াঙ্কের।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে, লখনউ সুপার জায়ান্টস সমর্থকরাই শুধু নন। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরাও যেন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ২১ বছরের মায়াঙ্ক যাদবকে নিয়ে। সকলেরই যেন প্রশ্ন, এতদিন কোথায় ছিলেন এই তরুণ পেসার? একটা সময় এক্সপ্রেস গতির কারণে উমরান মালিককে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছিল ভারতীয় ক্রিকেট। আইপিএলেই ১৫৭ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বোলিং করেছেন। কিন্তু ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। ভবিষ্যতে হয়তো পারবেন। তাঁর পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের নতুন স্বপ্ন মায়াঙ্ক যাদব। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এক বছর আগেই আইপিএলের মঞ্চে দেখা যেতে পারতো গতির পূজারি মায়াঙ্ক যাদবকে। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে চোট, পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে দিয়েছিল। এ বার অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে অভিযান আইপিএল অভিযান শুরু করেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথম ম্যাচে হার। দেখা যায়নি মায়াঙ্ককে। ঘরের মাঠ গত ম্যাচে তুরুপের তাস বের করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অভিষেক মায়াঙ্কের। পঞ্জাব ইনিংসের দশম ওভারে আত্মপ্রকাশ। নিজের প্রথম ওভার থেকেই চিন মিউজিক শোনাতে শুরু করেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে গতি তুলেছিলেন ১৫৫.৮ কিমি/ঘণ্টা!
ওয়ান ম্যাচ ওয়ান্ডার! আইপিএলে এমন অনেক দেখা গিয়েছে। অভিষেক ম্যাচে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন। তিনি যে ওয়ান ম্যাচ ওয়ান্ডার নন, মায়াঙ্ক প্রমাণ করলেন। লড়াইটা যেন নিজের সঙ্গেই। প্রয়োজন ধারাবাহিকতা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধেও অনবদ্য বোলিং। গতিতে ছাপিয়ে গেলেন নিজেকেই। এ দিন তাঁর একটি ডেলিভারি ১৫৬.৭ কিমি/ঘণ্টা। এ বারের আইপিএলে দ্রুততম ডেলিভারি। নিজেকেই ছাপিয়ে গেলেন দিল্লির তরুণ পেসার। যাঁকে ইতিমধ্যেই ডাকা শুরু হয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেস নামে।
শুধু গতিই নয়, পারফরম্যান্সেও বাজিমাত। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট! টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩.৫ ইকোনমি। এই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে জাতীয় দলে ডাক শুধুই সময়ের অপেক্ষা। নির্বাচকদের নজর রয়েছে মায়াঙ্কের উপর। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেরার পুরস্কার জিতে তরুণ পেসার বলছেন, ‘আমি ম্যাচের সেরা হয়েছি এর চেয়েও আনন্দের, দল জিতেছে। আমার লক্ষ্য দেশের হয়ে খেলা। আর সেই লক্ষ্যে এটা সবে পথ চলা শুরু বলেই মনে করি।’