Ranji Trophy Final: পণ্ডিতের হাত ধরে প্রথমবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশ

সরাসরি জয়ের জন্য ১০৮ রানের লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রদেশের।

Ranji Trophy Final: পণ্ডিতের হাত ধরে প্রথমবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশ
রঞ্জি জয়ের স্বাদ মধ্যপ্রদেশের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2022 | 2:56 PM

বেঙ্গালুরু: রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) জিততে চান! তাঁকে কোচ নিয়োগ করুন। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত (Chandrakant Pandit) সম্পর্কে যেন এমনটাই বলা যেতে পারে। তাঁর সাফল্য, পরিসংখ্যানই প্রমাণ। তাঁর কোচিংয়েই প্রথমবার রঞ্জি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বিদর্ভ। পরপর দুবার। তাঁর কোচিংয়ে মুম্বাইও (Mumbai) ট্রফি জিতেছে। তবে আন্ডারডগ কোনও দলকে চ্যাম্পিয়ন করা, অভ্যাসে পরিণত করেছেন। এবার মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)। প্রথমবার রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের হাত ধরে ২৩ বছর পর রঞ্জি ফাইনালে উঠেছিল মধ্যপ্রদেশ। সামনে সবচেয়ে বেশি বার খেতাব জয়ী মুম্বাই। হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধেও হাল ছাড়েনি মধ্যপ্রদেশ। ম্যাচের গল্পটা অন্যরকম হতেই পারতো। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল পৃথ্বী শ-র নেতৃত্বাধীন মুম্বাই। সরফরাজ খানের মতো আর দুটো ইনিংস হলে…। সরফরাজের শতরানে মুম্বাই প্রথম ইনিংসে করে ৩৭৪। জবাবে তিনটি শতরানের সৌজন্যে ৫৩৬ রানের বড় স্কোর মধ্যপ্রদেশ। ম্যাচের তৃতীয় দিন মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান যোগ করে মধ্যপ্রদেশ। টার্নিং পয়েন্ট সেটাই।

চতুর্থ দিনের শেষে ১১৩-২ স্কোর ছিল মুম্বাইয়ের। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকায়, খেতাবের জন্য সরাসরি জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না তাদের। কঠিন পরিস্থিতিতে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকার প্রয়োজন ছিল। অন্তত কিছুটা লড়াই হত। মধ্যপ্রদেশ খেতাবের সামনে থাকলেও ম্যাচে ফোকাস হারায়নি। পঞ্চম দিন প্রথম সেশনে মুম্বাইয়ের বাকি ৮ উইকেট নেয় মধ্যপ্রদেশ। মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ২৬৯ রানে। সরাসরি জয়ের জন্য ১০৮ রানের লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রদেশের। দ্বিতীয় ওভারেই যশ দুবের উইকেট হারায়। সেমিফাইনালে বাংলার বিরুদ্ধে অনবদ্য ইনিংস খেলা হিমাংশু মন্ত্রী এবং পুরো মরসুমে ছন্দে থাকা শুভম শর্মা যেন ‘মিশন’-এ নেমেছিলেন। দলীয় ৫৪ রানে শামস মুলানির বোলিংয়ে সুইপ খেলেন হিমাংশু মন্ত্রী। বল প্যাডে লেগে উইকেটে। ক্রিজে প্রবেশ আরেক বাঁ হাতি ব্যাটার পার্থ সাহানির। সেট ব্যাটসম্যান শুভম শর্মা শুধুমাত্র রক্ষণ না করে শটও খেলেন। অনবদ্য রানিং বিটউইন দ্য উইকেট। মুলানির পরের ওভারেই শট খেলার চেষ্টায় ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ পার্থ। ৬৬-৩ হওয়ায় সাময়িক আতঙ্ক মধ্যপ্রদেশ শিবিরে। রজত পাতিদারের ক্রিজে আসতেই রান আউটের পরিস্থিতি। তানুশ কোটিয়ানের থ্রো রজতের শরীরে আঘাত করে। না হলে, রান আউট হতেন রজত। গ্যালারি থেকে আরসিবি চিৎকারের মাঝে তেমনই মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন রজত। জয় থেকে ৭ রান দূরে অপ্রয়োজনীয় শটে আউট শুভম শর্মা। রজতের ৩৭ বলে ৩০ রান, ৬ উইকেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশ। জয়ের রান রজতের ব্যাটেই।

৬ ম্যাচে প্রায় হাজার রান সরফরাজের। অধিনায়ক পৃথ্বী শ মাত্র তিনটি অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন। বেশ কিছু ম্যাচে ভালো শুরু করেও বড় রানের ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য তা যথেষ্ঠ ছিল না।