Suryakumar Yadav: ম্যাচ ফিনিশে সূর্য কীভাবে মাথা ‘ঠান্ডা’ রাখেন! আন্দাজ করতে পারছেন?
MS Dhoni: সেরা উত্তর এল ম্যাচ ফিনিশিংয়ের দক্ষতা নিয়ে। ১০০ রানের লক্ষ্যে নেমে লখনউতে শেষ ওভারে ৬ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। সেটা নিয়েও চাপের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সূর্যকুমার যাদব মাথা ঠান্ডা রাখেন। তাঁর বাউন্ডারিতেই জয় নিশ্চিত হয়। শেষ ওভারে হার্দিকের সঙ্গে কী কথা হচ্ছিল এবং ফিনিশিং ক্ষমতা প্রসঙ্গে হার্দিকের জবাব...
আমেদাবাদ: যদি প্রশ্ন করা হয়, বিশ্ব ক্রিকেটে সেরা ফিনিশার কে? উত্তরের জন্য কি খুব বেশি ভাবতে হবে! মনে হয় না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও আইপিএলে খেলছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। অনেকেই ধোনির মতো ফিনিশার হতে চান। বর্তমান ভারতীয় দলে এই ভূমিকায় অনেককেই দেখা যায়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কথা ধরলে, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়ারা এই ভূমিকায় সফল। রাঁচিতে গত ম্যাচে মাত্র ১০০ রান তাড়া করতে নেমেও চাপে পড়ে ভারত। শেষ অবধি ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে টিম ইন্ডিয়া। সিরিজে সমতাও ফেরায়। সূর্যকুমার কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ ফিনিশ করেন! আমেদাবাদ ম্য়াচের আগে অনেক কারণের মধ্যে উঠে এল মহেন্দ্র সিং ধোনি প্রসঙ্গও। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
বুধবার আমেদাবাদে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচ। লখনউতে গত ম্যাচের রেশ রয়ে গিয়েছে এখনও। ম্যাচের পর পিচ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। রাঁচিতে প্রথম ম্যাচের পরও পিচ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। আমেদাবাদে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন সহ অধিনায়ক সূর্যকুমার কুমার যাদব। তিনি অবশ্য পিচ নিয়ে উল্টো সুরে। বলছেন, ‘কোন মাটির পিচ, কী ধরনের পিচ সেগুলো আমাদের হাতে নেই। কোন পিচে খেলছি সেটা নিয়েও ভাবি না। আমাদের নিয়ন্ত্রণে যেটা ছিল, গত ম্য়াচে করে দেখিয়েছি। দ্রুত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হত, সেটা আমরা করেছি। ঐ ঘটনা থেকে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। ওই ম্যাচ এখন অতীত।’
হার্দিক পান্ডিয়ার ক্ষোভের রেশ পড়েছিল মারাত্মক। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামেপ স্থানীয় পিচ কিউরেটরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা। সূর্যর অবশ্য পিচ নিয়ে অভিযোগ নেই। ম্যাচের পর হার্দিকের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে, এমনটাই জানালেন। বলছেন, ‘লো-স্কোরিং হলেও, ম্য়াচটা খুবই রোমাঞ্চকর ছিল। টি-টোয়েন্টি হোক বা ওয়ান ডে ম্যাচ। রান কম হোক বা বেশি। আমার মতে, ম্যাচটা উপভোগ্য হওয়া প্রয়োজন। একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক। পিচ কোনও ম্যাটার বলে মনে করি না। মাঠে নামলে যদি চ্যালেঞ্জ থাকে, সেটা মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’ কিন্তু ক্যাপ্টেন তো বলেছিল, এই পিচ দেখে চমকে গিয়েছিলেন! হাসতে হাসতে সহ অধিনায়ক সূর্য যোগ করলেন, ‘পরে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা সহমত হয়েছি, ভবিষ্যতে যেমন পিচই হোক, সেটা নিয়ে না ভেবে পারফরম্য়ান্সে নজর দেব।’
সেরা উত্তর এল ম্যাচ ফিনিশিংয়ের দক্ষতা নিয়ে। ১০০ রানের লক্ষ্যে নেমে লখনউতে শেষ ওভারে ৬ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। সেটা নিয়েও চাপের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সূর্যকুমার যাদব মাথা ঠান্ডা রাখেন। তাঁর বাউন্ডারিতেই জয় নিশ্চিত হয়। শেষ ওভারে হার্দিকের সঙ্গে কী কথা হচ্ছিল এবং ফিনিশিং ক্ষমতা প্রসঙ্গে হার্দিকের জবাব, ‘হার্দিকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ব্যাট করছিলাম। বোঝাপড়া জরুরী ছিল। আমরা একটা সুযোগ খুঁজছিলাম। আর আমার ম্যাচ ফিনিশিংয়ের ক্ষেত্রে বলতে পারি, টি-টোয়েন্টি সিরিজ রাঁচিতে শুরু হয়েছিল। হয়তো সে কারণেই মাথা ঠান্ডা রাখা রপ্ত করেছিলাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় ধরে খেলেছি। অনেক সিনিয়র প্লেয়ারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। প্রত্যেকের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করেছি।’ ধোনির শহর রাঁচিতে ম্যাচ হেরেছিল ভারত। ভিআইপি বক্সে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বজয়ী ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।