কোচি : আইপিএলের মিনি অকশন। যদিও মিনি বলা যায় না। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ৪০৫ জন ক্রিকেটার রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। নতুন রেকর্ডও হল মিনি অকশনে। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হলেন ইংল্য়ান্ডের অলরাউন্ডার স্যাম কারান। পঞ্জাব থেকে আইপিএল যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর। ফের পঞ্জাবেই রেকর্ড ১৮.৫ কোটিতে স্য়াম কারান। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে কয়েকজনও নিলামে চমক দিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য় বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। এ বছর স্বপ্নের দৌড় চলছে মুকেশের। আরও একটা দামি মুহূর্ত তাঁর কেরিয়ারে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
মিনি অকশনে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম পেলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। গত মরসুমে পঞ্জাব কিংসে ছিলেন তিনি। নেতৃত্বও দিয়েছেন। যদিও নেতৃত্বের বাড়তি চাপ তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলেছিলেন। এ বার পঞ্জাব তাঁকে রিটেন করেনি। মায়াঙ্কের বেস প্রাইস ছিল ১ কোটি। নিলামে ৮.২৫ কোটিতে মায়াঙ্ককে নিল সানরাইজার্স হয়দরাবাদ। টাকার অঙ্কে ভারতীয়দের মধ্যে এই নিলামে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শিবম মাভি। এত দিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে ছিলেন শিবম। এ বার তাঁকে রিটেন করা হয়নি। তাঁর বেস প্রাইস ছিল ৪০ লক্ষ। নিলামে তাঁকে ৬ কোটিতে নিল গুজরাট টাইটান্স।
এ দিনের নিলামে সবচেয়ে বড় চমক বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। দীর্ঘ সময় ধরেই বাংলার হয়ে ভালো পারফর্ম করছেন মুকেশ। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসে রিজার্ভে ছিলেন। এ বছর ভারত ‘এ’ দলে সুযোগ হয় মুকেশের। অনবদ্য পারফরম্যান্সের সৌজন্যে জাতীয় দলেও ডাক পান। অভিষেক না হলেও জাতীয় দলের রাডারে রয়েছেন মুকেশ। সদ্য ভারত ‘এ’ দলের হয়ে বাংলাদেশ সফরেও দারুণ পারফরম্য়ান্স মুকেশের। চোট না পেলে হয়তো টেস্ট স্কোয়াডেও জায়গা পেতেন। আইপিএল নিলামে অবশ্য দারুণ প্রাপ্তি। তাঁর বেস প্রাইস ছিল মাত্র ২০ লক্ষ টাকা। লড়াই শেষে দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে নিল ৫.৫ কোটিতে।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে চমক বিভ্রান্ত শর্মা। এই লেগ স্পিনারের বেস প্রাইস ছিল ২০ লক্ষ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের লক্ষ্য ছিল লেগ স্পিনার নেওয়ার। তাঁকে ২.৬ কোটিতে নিল সানরাইজার্স। ভারতীয় টেস্ট দলের সদস্য শ্রীকার ভরতকে নিল গুজরাট টাইটান্স। তাঁর বেস প্রাইস ছিল ২০লক্ষ। তাঁকে নেওয়া হল ১.২ কোটিতে। আর এক অভিজ্ঞ ব্য়াটার মণীশ পান্ডেকে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ২.৪ কোটিতে মণীশকে নিল দিল্লি।