কলকাতা : পাওয়ার প্লে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর গুরুত্ব কে না জানে। প্রথম ৬ ওভার বোলারদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্য়ালেঞ্জ। সার্কেলের বাইরে মাত্র দু-জন ফিল্ডার। প্রতিপক্ষ ব্য়াটাররা চাইবেন এর পুরোপুরি সুবিধা তুলতে। সেটাই প্রত্যাশিত। বেশির ভাগ দলেরই লক্ষ্য থাকে পাওয়ার প্লে-তে অন্তত ৬০ রান তোলা। কিন্তু সব বোলারের কাছে পাওয়ার প্লে মানেই বিরক্তি নয়। বরং তাঁদের কাছে পাওয়ার প্লে বড় চ্য়ালেঞ্জ। প্রতিপক্ষ ব্য়াটারদের কাছে দক্ষতা প্রমাণের বড় পরীক্ষা। আইপিএলের ইতিহাসে অনেক সেরা বোলারই খেলেছেন। কিন্তু গত কয়েক বছরের বিষয়ে দেখলে পাওয়ার প্লে-তে ক্রমশ যেন স্পেশালিস্ট হয়ে উঠেছেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ সামি। গুজরাট টাইটান্সের পেসার এ বারের আইপিএলে প্রতি ম্যাচেই পাওয়ার প্লে-তে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন। আইপিএলের ইতিহাসে সেরা পাওয়ার প্লে বোলিং কার? বিস্তারিত TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
দিল্লি ক্য়াপিটালস বনাম গুজরাট টাইটান্স ম্য়াচে অনবদ্য বোলিং করেছেন মহম্মদ সামি। পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট! অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই হয়েছে। তবে আইপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লে-তে এখনও সেরা স্পেল ইশান্ত শর্মার নামে। ২০১১ সালের আইপিএলে ডেকান চার্জার্সের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লেতেই ১২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ইশান্ত শর্মা। এ বারের আইপিএলে দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে মহম্মদ সামির ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট আইপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লে-তে দ্বিতীয় সেরা বোলিং।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ধবল কুলকার্নি। ২০১৬ সালের আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সের এই মিডিয়াম পেসার রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের বিরুদ্ধে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ধবল। তালিকায় এরপরই রয়েছেন অজিত চান্ডিলা। রাজস্থান রয়্যালসের এই স্পিনার ২০১২ সালের আইপিএলে ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেলিনে আরসিবির বিরুদ্ধে। আইপিএলের উদ্বোধনী সংস্কারণ, অর্থাৎ ২০০৮ আইপিএলে পাকিস্তানের পেসার শোয়েব আখতার দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লেতে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।