CSK vs GT, IPL 2023 Final : আমেদাবাদে আজ ভ্যাবচ্যাক পিচ? টিম বানাতে হিমশিম খাচ্ছেন ধোনি-হার্দিক!

IPL 2023 Final : রবি-সন্ধে থেকে অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে আমেদাবাদে। প্রবল বৃষ্টির চোটে একটা সময় মাঠে জলও জমে গিয়েছিল। স্টেডিয়ামের ছাদ ফুটো হয়েও জল পড়েছে পিচে। এর ফলে মোতেরার পিচের প্রত্যাশিত কাঠিন্য থাকবে না। উল্টে নরম হয়ে যাবে। আবহাওয়ার যা ফোরকাস্ট, তাতে ১০ শতাংশ হলেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

CSK vs GT, IPL 2023 Final : আমেদাবাদে আজ ভ্যাবচ্যাক পিচ? টিম বানাতে হিমশিম খাচ্ছেন ধোনি-হার্দিক!
আমেদাবাদে আজ ভ্যাবচ্যাক পিচ? টিম বানাতে হিমশিম খাচ্ছেন ধোনি-হার্দিক!Image Credit source: IPL Website
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 29, 2023 | 1:26 PM

কলকাতা: ময়দানি ক্রিকেটে পিচ বোঝাতে কিছু কথার চল আছে। পাটা পিচ, মানে রানে ভরপুর। স্পিনার কিংবা পেস বোলারদের কাছে এমন পিচ বধ্যভূমি। আরও ভালো বললে, খাবার নেই। বিপক্ষের উইকেট তোলার থেকে বেশি এমন ময়দানি পিচে রান আটকানোই একমাত্র মন্ত্র হয়ে যায় বোলারদের। আবার যদি ম্যাচের আগের দিন ভরপুর বৃষ্টি হয়, তা হলে ওই পাটা পিচেই সোনার ফসল ফলান বোলাররা। এমন পিচকে ব্যাটাররা কী নামে ডাকেন? ভ্যাবচ্যাক পিচ! অর্থাৎ ভ্যাবাচাকা বা ঘোল খাইয়ে দিতে পারে যে কোনও টিমকে। দারুণ ব্যাটারও ভ্যাবচ্যাক পিচের জালে আটকে পড়তে পারেন। আজ সন্ধেয় আইপিএল ফাইনালে (IPL Final) আমেদাবাদের পিচও এমন ভ্যাবচ্যাক হয়ে যেতে পারে। ক্রিকেটে পিচ বিষম বস্তু। বুঝতে পারলে সোনায় সোহাগা। না বুঝতে পারলে বিপক্ষের প্যাঁচে কেটে যাবে ঘুড়ি। মহেন্দ্র সিং ধোনিই (MS Dhoni) হোন আর হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya), বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে খেতাবের খোঁজে নামার আগে প্রথম একাদশ সাজাতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেমন হতে পারে আইপিএল ফাইনালের পিচ? বিস্তারিত TV9Bangla Sportsএর এই প্রতিবেদনে।

চরিত্রগত ভাবে মোতারা বা নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের পিচ রানের ফলন বরাবরই ভালো। অতীতেও ওই স্টেডিয়ামে বড় রানের ম্যাচ দেখা গিয়েছে। এ বারের আইপিএলও ব্যতিক্রম নয়। প্রচুর রান উঠেছে। শুভমন গিল গত দুটো ম্যাচে এই স্টেডিয়ামেই করেছেন পর পর দুটো সেঞ্চুরি। স্পিনার হোন আর পেসার, কেউই থামাতে পারেননি তাঁকে। শুধু তাই নয়, দুটো সেঞ্চুরি করার আগে নট আউট ৯৪-ও করেছিলেন। শুধু শুভমনকে দিয়েই বোঝা যেতে পারে, আমেদাবাদের পিচ ব্যাটারদের রান দিতে কোনও কার্পণ্য করেনি। ভুল না করলে, নিজেই বোলারের জালে জড়িয়ে না পড়লে, অবিশ্বাস্য বোলিং না হলে মোতেরা শূন্য হাতে ফেরায় না ব্যাটারদের। পাটা পিচ, সমান বাউন্স, বাইশ গজে খানাখন্দের বালাই নেই। এমন পিচ বোলারদের আশঙ্কা বাড়াবে, এতে আর আশ্চর্য কী! কিন্তু চেনা এই পিচই হঠাৎ ভ্যাবচ্যাক হয়ে যেতে পারে, এমনই আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

রবি-সন্ধে থেকে অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে আমেদাবাদে। প্রবল বৃষ্টির চোটে একটা সময় মাঠে জলও জমে গিয়েছিল। স্টেডিয়ামের ছাদ ফুটো হয়েও জল পড়েছে পিচে। এর ফলে মোতেরার পিচের প্রত্যাশিত কাঠিন্য থাকবে না। উল্টে নরম হয়ে যাবে। আবহাওয়ার যা ফোরকাস্ট, তাতে ১০ শতাংশ হলেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা যদি হয়, তা হলে তো রিজার্ভ ডে-তেও চ্যাম্পিয়ন হবে বৃষ্টিই। বৃষ্টি যদি নাও হয়, তা হলে কি রানের ফুলঝুরি দেখা যাবে? শুভমন গিল, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়দের ব্যাটে চার-ছয়ের সুনামি দেখা যাবে? ঘটনা হল, বৃষ্টি ভেজা মাঠকে পুরনো চেহারায় ফিরতে হলে কড়া রোদ খেতে হয়। সে সম্ভাবনা আজ, সোমবার দিনভর নেই। মেঘের আনাগোনা চলছে, চলবে। ফলে রোদ খেয়ে বাইশ গজের চাঙ্গা ও তেতে ওঠার সম্ভাবনা বড়ই কম। বরং কিছুটা মিইয়ে থাকবে পিচ। আর এমন বাইশ গজে কিন্তু বোলাররা সুখযাপন করতে পারেন। হয়তো ফাইনালের নিয়ন্ত্রণ নেবেন দুই টিমের বোলাররা। সে ক্ষেত্রে পুরো হিসেব নতুন করে করতে হবে। আগে ব্যাটিং করে বড় রান তুলে বিপক্ষকে ভুলের ফাঁদে ফেলার ছক থেকে বেরিয়ে এসে রান তাড়া করার নীতি নিতে হবে। স্পিনারদের থেকে অনেক বেশি কার্যকর হয়ে উঠবেন দুই টিমের পেসাররা।

মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন ভ্যাবচ্যাক পিচের গুরুত্ব বোঝেন। জানেন হার্দিক পান্ডিয়াও। ফলে চেন্নাই সুপার কিংস হোক আর গুজরাট টাইটান্স, দুই টিমের ক্য়াপ্টেনকেই নতুন করে সাজাতে হচ্ছে হিসেব। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোন টিম অ্যাডভান্টেজে থাকবে, তা আর আগে থেকে জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। বল গড়ালে পড়া যাবে মোতেরার পিচ।