কাছের মানুষ কাকে বলে? যিনি খারাপ সময়েও পাশে থাকেন। তাই নয় কি? হার্দিক পান্ডিয়ার ক্ষেত্রে পরিবার যেমন রয়েছে, তেমনই তাঁর দুই পরিবারের কথাও ভুললে চলবে না। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং জাতীয় দল। আইপিএলে তাঁর কেরিয়ার শুরু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। ২০২২ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নতুন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি দল যোগ হয়। গুজরাট টাইটান্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্ট। মুম্বই থেকে গুজরাট টাইটান্সে যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক। অভিষেক মরসুমে তাঁর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন এবং পরের বার রানার্স। যদিও গত মরসুমে শেষ মুহূর্তে টাইটান্স ছেড়ে মুম্বই ফেরেন হার্দিক। এরপরই নানা খারাপ অভিজ্ঞতায় কাটাতে হয়েছে। সে সময় যাঁরা পাশে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন ঈশান কিষাণ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। টুর্নামেন্টে ১৪৪ রান এবং ১১টি উইকেট। আলাদা করে বলতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফাইনালে তাঁর পারফরম্যান্স। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। হেনরিখ ক্লাসেন এবং শেষ ওভারে মাত্র ১৬ রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতান হার্দিক। বিধ্বংসী ডেভিড মিলারকে শেষ ওভারে ফেরান। বিশ্বজয়ের পর তাঁর জীবনটাও বদলে গিয়েছে অনেক। আইপিএলের সময় শুধুই বিদ্রুপ শুনতে হয়েছে। বিশ্বকাপের পর বিদ্রুপ বদলে গিয়েছে ভালোবাসায়।
টিম ফেরার পরই হার্দিকের সঙ্গে দেখা করতে যান ঈশান কিষাণ। গত বছরটা তাঁরও খুব খারাপ কেটেছে। বোর্ডের চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন। আইপিএলেও ভালো পারফর্ম করতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ মেলেনি। ঈশানও চেষ্টা করছেন প্রত্যাবর্তনের। হার্দিকের এই সাফল্যে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন ঈশান। তিনি যখন হার্দিকের সঙ্গে দেখা করতে যান, দেখেন হার্দিক সোফায় বসে। দৌড়ে গিয়ে হার্দিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। সতীর্থ থেকে বন্ধু হয়ে উঠেছেন যে। খারাপ সময়ে কাছে ছিলেন, ভালো সময়ে কাছে থাকবেন না, হয় নাকি!