মুম্বই : বোর্ডে ১৫৯ রান। খুব একটা কম নয়। তবে টুর্নামেন্টে টানা জিতে আসা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে এই লক্ষ্য খুব বড় নয়। তাদের চাপে ফেলতে হলে শুরুতেই উইকেট ফেলতে হত ইউপি ওয়ারিয়র্সকে। দু-বার সুযোগ মিলল। কাজে লাগাতে ব্য়র্থ ইউপি ওয়ারির্স। দ্বিতীয় ওভারে শাবনিম ইসমাইলের বোলিংয়ে উইকেটের পিছনে ক্য়াচ ফসকান অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। যস্তিকাকে খাতা খোলার আগেই ফেরানোর সুযোগ ছিল। পরের ওভারেই দীপ্তি শর্মার বোলিংয়ে ক্যাচ মিস সিমরন শেখের। এ বারও ব্যাটার যস্তিকা। অবশেষে সপ্তম ওভারে রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ের বোলিংয়ে যস্তিকার ক্য়াচ নেন সেই সিমরন শেখ। মাত্র ২৭ বলে ৪২ রানে ফেরেন জোড়া জীবন পাওয়া যস্তিকা। শেষ অবধি অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ব্যাটিং দাপটে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৮ উইকেটের বড় জয় ছিনিয়ে নিল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম ইউপি ওয়ারিয়র্স ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
গত ম্য়াচে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল ইউপি ওয়ারিয়র্স। তবে আরসিবি ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং আক্রমণে বিশাল পার্থক্য। পাওয়ার প্লে-তেই ওপেনার দেবিকা বৈদ্যকে ফেরান সাইকা ইসাক। তিনে নামা কিরণপ্রভু নবগীরে শুরুটা বিধ্বংসী করলেও বড় ইনিংস খেলতে ব্য়র্থ। ইউপি ওয়ারিয়র্সকে ভরসা দেন অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি ও তাহিলা ম্য়াকগ্রা। এই অজি জুটিতেই ম্যাচে ফেরে ওয়ারিয়র্স। তৃতীয় উইকেটে মাত্র ৬১ বলে ৮২ রান যোগ করেন হিলি ও ম্যাকগ্রা। অ্যালিসা হিলি এবং তাহিলা ম্যাকগ্রার এই ভয়ঙ্কর জুটি ভাঙেন সাইকা ইসাক। এই ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ নিজের দখলেই রাখলেন ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করা সাইকা। ওয়ারিয়র্সের লোয়ার অর্ডার ভরসা দিতে ব্যর্থ। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করে তারা। এর মধ্যে সাইকা তিন উইকেট ছাড়া অ্যামেলিয়া কের ২টি ও হেইলি ম্য়াথুজ ১ উইকেট নেন।
মুম্বই ইনিংসে নাটকীয় পাওয়ার প্লে। সোফি এক্লেস্টনের বোলিংয়ে রিভিউ বিতর্ক। হেইলি ম্যাথুজের ব্যাটে আগে বল লেগেছে না জুতোর ডগায় এই ধোঁয়াশা। প্রথমে তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। ফের একবার চেক করা হয়, বারবার রিপ্লে দেখে নিশ্চিত করা হয়, প্রথমে ব্য়াটে বল লাগে, তারপর জুতোর ডগায়। হেইলি ম্য়াথুজ ১০ রানে ক্রিজে তখন। রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হলেও সপ্তম ও অষ্টম ওভারে পরপর দুই ওপেনারের উইকেট হারায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পরিস্থিতি সামাল দেন ন্যাট সিবার ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। এই জুটি শুরুটা খুবই সতর্ক করেন। ক্রিজে কিছুটা সময় কাটানোতেই জোর দেয়। এরপরই গিয়ার শিফ্ট করে এই জুটি। ৪৩ বলে ৫০-র কোটা পেরোন হরমন ও সিবার। সেখানেই থামেননি। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়ে এই জুটি। মাত্র ৬৩ বলে ১০৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। হরমনপ্রীত অর্ধশতরান করেন। ন্যাট সিবারও অপরাজিত ৪৫ রানে। ১৫ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জয় মুম্বইয়ের। ম্যাচের সেরা হরমনপ্রীত কৌর।