Gautam Gambhir: ক্ষুরধার মস্তিষ্ক, বিরাট কোহলির মতো ফিটনেস! গৌতম গম্ভীরের স্পেশাল ডায়েট জানেন?

Indian Cricket Team Head Coach: শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনের জন্যই পরিচিত গৌতম গম্ভীর। আর তিনি ল্যাপটপ কোচও নন। ম্যাচের আগে ট্রেনিংয়ে নিজেকেও প্লেয়ারের মতোই জড়িয়ে রাখেন। এর জন্য চাই দুর্দান্ত ফিটনেসও। ট্রেনিংয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে বিশেষ ডায়েটও মেনে চলেন গৌতম গম্ভীর। মেন্টর কিংবা কোচ হিসেবেও যাতে সকলের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকতে পারেন, সেই চেষ্টাই করেন।

Gautam Gambhir: ক্ষুরধার মস্তিষ্ক, বিরাট কোহলির মতো ফিটনেস! গৌতম গম্ভীরের স্পেশাল ডায়েট জানেন?
Image Credit source: INSTAGRAM
Follow Us:
| Updated on: Jul 11, 2024 | 9:00 AM

গৌতম গম্ভীরের বয়স কত? প্রশ্ন একেবারেই কঠিন নয়। গুগল করলেই পাওয়া যায়! ৪২ বছর। অক্টোবরে ৪৩ হবে। কিন্তু কাঁচা-পাকা দাড়ি শেভ করলে আদৌ বোঝা যায় গৌতম গম্ভীরের কত বয়স! হয়তো না। তাঁর ফিটনেস তরুণ ক্রিকেটারকেও প্রেরণা জোগাবে। কোনও তুলনা নয়, তবে ফিটনেসের দিক থেকে গৌতম গম্ভীর যেন বিরাট কোহলির মতোই। তবে শারীরীক ফিটনেস ধরে রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্কও ক্ষুরধার রাখা চাই। এখন যেন আরও বেশি করে প্রয়োজন। পুরো দেশের প্রত্যাশা তাঁর উপর। ভারতীয় দলের হেড কোচ হয়েছেন গৌতম গম্ভীর। গত কয়েক বছর ধরে তিন ফরম্যাটেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মিটেছে আইসিসি ট্রফির খরা। গম্ভীরের কোচিংয়ে পরবর্তী দুটো বড় টার্গেট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ফিট থাকতে যেমন ট্রেনিং এবং সঠিক ডায়েট প্রয়োজন, তেমনই ব্রেন শার্প রাখতেও চাই ‘ডায়েট’! গম্ভীরের সেই ডায়েটও কুর্নিশ জানানোর মতোই।

প্রথমে আসা যাক গৌতম গম্ভীরের ফিটনেস এবং ডায়েট প্রসঙ্গে। শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনের জন্যই পরিচিত গৌতম গম্ভীর। আর তিনি ল্যাপটপ কোচও নন। ম্যাচের আগে ট্রেনিংয়ে নিজেকেও প্লেয়ারের মতোই জড়িয়ে রাখেন। এর জন্য চাই দুর্দান্ত ফিটনেসও। ট্রেনিংয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে বিশেষ ডায়েটও মেনে চলেন গৌতম গম্ভীর। মেন্টর কিংবা কোচ হিসেবেও যাতে সকলের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকতে পারেন, সেই চেষ্টাই করেন।

গৌতম গম্ভীরের ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, সঙ্গে পরিমিত ফ্যাট। মাসল রিকোভারির পাশাপাশি এনার্জি ঠিক রাখাই লক্ষ্য থাকে। ফিটনেসের দিক থেকেও ভারসাম্যে বিশ্বাসী। কার্ডিও এক্সারসাইজ, স্ট্রেন্থ ট্রেনিং, নমনীয় ট্রেনিংয়ে ফোকাস করেন। তাঁর ফিটনেস রুটিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ক্রসফিট ট্রেনিং। এর মধ্যে ওয়েটলিফটিং, কার্ডিও এবং জিমন্যাস্টিক্সও থাকে। সঙ্গে ট্রেডমিল ট্রেনিং তো রয়েইছে। সমস্ত দিক ঠিক রাখতেই এতটা শৃঙ্খলা মেনে চলেন।

আর মস্তিষ্ক ক্ষুরধার রাখতে? এই প্রশ্নের জবাব তিনি দিয়েছিলেন গত আইপিএলের আগেই। ফ্যানেদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নোত্তরে অংশ নিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। সেখানেই তাঁকে একজন জিজ্ঞেস করেন, আপনার ক্ষুরধার মস্তিষ্কের রহস্য কী? গৌতম গম্ভীর জবাব দিয়েছিলেন, বোরিং ডায়েট এবং নো অ্যালকোহল-স্মোকিং। তাঁর এই জবাবে অবশ্য দু-একজন বিদ্রুপও করেছিলেন। মিচেল স্টার্ককে ২৪.৭৫ কোটিতে নেওয়ার কারণেই এই বিদ্রুপ।

গৌতম গম্ভীরকে অবশ্য এর কোনও জবাব দিতে হয়নি। শুরুর দিকে ফ্লপ হলেও প্লে-অফ এবং ফাইনালে কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। এরপরও কি আরও সন্দেহ থাকে গম্ভীরের মস্তিষ্ক কতটা ক্ষুরধার? এ বার ভারতীয় দলেও যেন এই ক্ষুরধার মস্তিষ্কের কামাল দেখার পালা।