India vs Australia: ১৪ বছর বকেয়া ইলেকট্রিক বিল, আঁধারে রাইপুর স্টেডিয়াম, ভারতের ম্যাচ নিয়ে আশঙ্কা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অভিষেক সেনগুপ্ত

Dec 01, 2023 | 2:31 PM

Raipur Stadium: ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ না হলে জানাই যেত না আঁধার ঘনিয়ে এসেছে রাইপুর স্টেডিয়ামে। ২০০৯ সাল থেকে বকেয়া পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের বিল। স্টেডিয়ামের একটি অংশের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ১৪ বছর কেন বাকি পড়ে রয়েছে ইলেকট্রিক বিল, তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে। রাইপুর স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক অতীতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে, আইপিএল ম্যাচও হয়েছে। তারপরও কেন স্টেডিয়ামের বিল বকেয়া থেকে যাবে? সাড়ে তিন কোটি টাকার মতো ইলেকট্রিক বিল বাকি পড়ে রয়েছে রাইপুর স্টেডিয়ামের। পাঁচ বছর আগেই এই নিয়ে কড়া বার্তা জারি করেছিল ছত্তীসগড় বিদ্যুৎ বিভাগ।

India vs Australia: ১৪ বছর বকেয়া ইলেকট্রিক বিল, আঁধারে রাইপুর স্টেডিয়াম, ভারতের ম্যাচ নিয়ে আশঙ্কা
রাইপুর স্টেডিয়াম

Follow Us

রাইপুর: দেশ জিতলে ম্যাচের শেষে মোবাইল টর্চ জ্বালানোর রেওয়াজ এখন সব স্টেডিয়ামে। রাইপুরে আজ মোবাইলই ভরসা। সন্ধ্যে নামলে মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়েই বসতে হবে দর্শকদের। প্রশ্ন হচ্ছে, ১০ হাজারি গ্যালারিই কি ফ্লাডলাইটের অভাব মেটাতে পারবে? কয়েক ঘণ্টা পর ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ টি-২০ ম্যাচ। সূর্য যাদবের টিম ২-১ এগিয়ে। সিরিজের নিস্পত্তি হবে, নাকি অস্ট্রেলিয়া সমতা ফেরাবে, এই আলোচনা আপাতত রাইপুর স্টেডিয়ামের ধারেকাছে কোথাও নেই। ছত্তীসগড় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কর্তারা এখন মরিয়া হয়ে যোগাযোগ করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে। যা পরিস্থিতি, শুক্র সন্ধেয় রাইপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচ হওয়া নিয়ে ব্যাপক আশঙ্কা।

 

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ না হলে জানাই যেত না আঁধার ঘনিয়ে এসেছে রাইপুর স্টেডিয়ামে। ২০০৯ সাল থেকে বকেয়া পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের বিল। স্টেডিয়ামের একটি অংশের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ১৪ বছর কেন বাকি পড়ে রয়েছে ইলেকট্রিক বিল, তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে। রাইপুর স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক অতীতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে, আইপিএল ম্যাচও হয়েছে। তারপরও কেন স্টেডিয়ামের বিল বকেয়া থেকে যাবে? সাড়ে তিন কোটি টাকার মতো ইলেকট্রিক বিল বাকি পড়ে রয়েছে রাইপুর স্টেডিয়ামের। পাঁচ বছর আগেই এই নিয়ে কড়া বার্তা জারি করেছিল ছত্তীসগড় বিদ্যুৎ বিভাগ। সেই সময় থেকেই স্টেডিয়ামের আংশিক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। ছত্তীসগড়ের ক্রিকেট কর্তাদের অনুরোধে কাজ চালানোর জন্য একটি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল, যা মূলত বক্স ও গ্যালারির আলো জ্বালাতে কাজে লাগানো হত। এই পাঁচ বছরে বারবার বলা সত্ত্বেও বিদ্যুতের বিল শোধ করেনি ছত্তীসগড় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। আর কোনও অনুরোধ-উপরোধের ঢেঁকি গিলতে রাজি নন ওই রাজ্যের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তারা।

 

তাহলে কি ম্যাচ হবে না? গত পাঁচ বছর ধরেই রাইপুর স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট জ্বালানোর দায়ভার থাকে জায়ান্ট জেনারেটরের উপর। এ বারও সে ব্যবস্থা থাকছে। ফলে ম্যাচ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা ততটা নেই, তবে গ্যালারি অন্ধকারে মুখ লোকাবে কি না, তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না। ছত্তীসগড় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র তরুণেশ সিং পরিহার বলছেন, “বিদ্যুতের বিল কত বকেয়া রয়েছে তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে অতীতে যে সব আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে, তার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করা হয়েছে। এ বারও সেই ব্যবস্থা থাকছে।”