কলকাতা: বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হয়েছে। এমন স্কোয়াডই যেন প্রত্যাশিত ছিল। তারপরও মনে করা হয়েছিল, শেষ মুহূর্তে কোনও চমক থাকতেই পারে! যদিও তা হয়নি। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে স্ট্যান্ড বাই সঞ্জু স্যামসন সহ রয়েছেন ১৮ জন। এর মধ্যে তিনজনকে বাদ পড়তেই হত। সেই তালিকায় তিলক ভার্মা, প্রসিধ কৃষ্ণা এবং স্ট্যান্ড বাইতে থাকা সঞ্জু। ওয়ান ডে ফরম্য়াটে টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় মাথাব্যাথা চার নম্বর। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল বোলিং বিকল্প। এ বার কি সেটা রয়েছে? তিলক ভার্মাকে না নেওয়ায় সেই প্রশ্নই যেন উঠছে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
চার নম্বর নিয়ে চর্চা নতুন নয়। কিছুদিন আগেই সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। শ্রেয়স আইয়ারকেই চারে প্রথম পছন্দ। সঙ্গে থাকছেন সূর্যকুমার যাদব। বিশ্বকাপের জন্য যে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড বেছে নেওয়া হয়েছে, তাতে মিডল অর্ডারে বিকল্প অনেক। অর্থাৎ চার নম্বরে শুধু শ্রেয়সই ব্যাট করতে পারবেন, তা নয়। সূর্যকুমার যাদব, লোকেশ রাহুলকেও এই পজিশনে খেলানো যেতে পারে। ঈশান কিষাণও থাকছেন। চিন্তার বিষয় ব্যাটারদের মধ্যে বোলিং বিকল্প। ২০১১ সালের স্কোয়াডে স্পেশালিস্ট ব্যাটাররা প্রায় প্রত্যেকেই বোলিং করতে পারতেন। সচিন তেন্ডুলকরই হোক বা বীরেন্দ্র সেওয়াগ। যুবরাজ, রায়নাও নিয়মিত বোলিং করেছেন। ভারতের বোলিংয়ে প্রচুর বিকল্প ছিল।
এ বারের স্কোয়াডে যদি দেখা যায়- রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়াররা কিন্তু বোলিং করেন না। রোহিত, বিরাট কেরিয়ারের শুরুর দিকে তবু বোলিং করতেন। রোহিতকে কবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ বার বোলিং করতে দেখা গিয়েছে! বিরাট কোহলি গত বারের এশিয়া কাপে আফগানিস্তান ম্যাচে এক ওভার বোলিং করেছিলেন। শুভমন গিল ঘরের মাঠে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে এক ওভার বোলিং করেছেন (সেটাও একটা ওভার)। তা প্রয়োজনের তাগিদে নয়। শ্রেয়স আইয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে বোলিং করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত বোলিং করেন না। সূর্যকুমার যাদবের বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা থাকায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঝুঁকি নেন না।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে তিলক ভার্মাকে রাখায় মনে করা হয়েছিল, বিশ্বকাপে এই ঝুঁকি নেওয়া হতে পারে। তিলককে নিলে মিডল অর্ডারে একজন বাঁ হাতি ব্যাটার পাওয়া যাবে। তাঁর অফস্পিনও ভরসা দিতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা সামান্য হলেও আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে দক্ষ অলরাউন্ডার তিলক। সূর্য-শ্রেয়স থাকায় নিঃসন্দেহে ব্যাটিং শক্তিশালী হল। তিলককে রাখলে বোলিং বিকল্প বাড়ত। বড় মঞ্চেই তো তারকার জন্ম হয়!