নয়াদিল্লি : নতুন ফিনান্স মডেল গড়েছে আইসিসি। এরপরই পাকিস্তানের ঈর্ষা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার বার্ষিক আয় ৬০০ মিলিয়ন ডলার। নতুন ফিনান্স মডেল অনুযায়ী এর ৩৮.৫ পারসেন্ট পাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তারা পাবে ৬.৮৯ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। তাদের প্রাপ্তি হতে চলেছে ৬.২৫ শতাংশ। একটা সময় আইসিসি-তে ছিল বিগ থ্রি। ভারত, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড এই বিগ থ্রি-তে ছিল। ২০১৪ সালে শশাঙ্ক মনোহর আইসিসির স্বাধীন চেয়ারম্যান হন। তারপরই বিগ থ্রি-র পাট চুকিয়ে দেন তৎকালীন আইসিসি চেয়ারম্যান। এ বার যে নতুন ফিনান্স মডেল গড়েছে আইসিসি, তাতে ভারত পাবে ২৩১ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা। যা শুনে কাঁদুনি গাইছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ক্রিকেট ওয়েব সাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবরেই আইসিসির এই নতুন ফিনান্স মডেল প্রকাশ্যে এসেছে। ২০২৪-২০২৭ সাইকেল পর্যন্ত আইসিসির থেকে ভারতীয় বোর্ডের আয় হতে চলেছে বার্ষিক প্রায় ১৯০০ কোটি। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজম শেঠী সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা আইসিসির কাছে জানতে চাইব, এই হিসেব কী ভাবে হল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা একেবারেই খুশি নই।’
আইসিসির ফিনান্স মডেলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তারা পেতে চলেছে ৫.৭৫ শতাংশ, ৩৪.৫১ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ২৮৩ কোটি টাকার মতো। ভারতীয় বোর্ডের প্রায় ১৯০০ কোটি টাকার আয়ের কাছে পাকিস্তান কতটা পিছিয়ে এই হিসেবেই পরিষ্কার। নাজম শেঠী আরও বলেন, ‘নিয়মের দিক থেকে ভারতীয় বোর্ড বেশি অংশ পাবে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই হিসেবটা কী ভাবে করা হল?’ আইসিসির ৬০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের মূল উৎস ভারতীয় ক্রিকেট। সে কারণেই প্রাপ্তির দিক থেকেও যে ভারতীয় বোর্ডই সবার থেকে এগিয়ে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।