T20 World Cup 2021: ধিক্কার থেকে নায়ক, মিচেল মার্শের ম্যাজিকে মুগ্ধ সারা দেশ

৫০ বলে নট আউট ৭৭ করে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) জিতিয়েছেন মিচেল মার্শ (Mitchell Marsh)। যিনি একসময় সমালোচনা কেন্দ্রে ছিলেন, সেই তিনিই এখন সারা অস্ট্রেলিয়ায় বন্দিত।

T20 World Cup 2021: ধিক্কার থেকে নায়ক, মিচেল মার্শের ম্যাজিকে মুগ্ধ সারা দেশ
T20 World Cup 2021: ধিক্কার থেকে নায়ক, মিচেল মার্শের ম্যাজিকে মুগ্ধ সারা দেশ (ছবি-টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 5:20 PM

দুবাই: বছর তিনেক আগে বক্সিং ডে টেস্টে (Boxing Day Test) সমর্থকদের কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। এতটাই যে, তিনি নিজেও ভেঙে পড়েছিলেন। বছর তিনেক পর সেই তিনিই আবার দেশের নায়ক। ৫০ বলে নট আউট ৭৭ করে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) জিতিয়েছেন মিচেল মার্শ (Mitchell Marsh)। যিনি একসময় সমালোচনা কেন্দ্রে ছিলেন, সেই তিনিই এখন সারা অস্ট্রেলিয়ায় বন্দিত।

মিচেল বলছেন, ‘ব্যক্তিগত ভাবে আমি ফাইনাল ম্যাচটাতে ঠিক এ ভাবেই পারফর্ম করতে চেয়েছিলাম। যাতে টিমকে বিশ্বকাপের সামনে পৌঁছে দিতে পারি। ফাইনালটা আমার কাছে এখনও ম্যাজিকের মতো লাগছে। আর সব কিছুর পর মনে হচ্ছে যেন চাঁদে হাঁটছি। টিমের জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত।’

অনূর্ধ্ব ১৯ অস্ট্রেলিয়া টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন মিচেল। গত এক দশক ধরে ধীরে ধীরে অজি টিম ম্যানেজমেন্ট তৈরি করেছে তাঁকে। অভিজ্ঞতাই ক্রমশ পাল্টে দিয়েছে অলরাউন্ডারকে। যা নিয়ে অকপট মিচেল, ‘আমি নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। উত্থান, পতনের মধ্যে দিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ক্রমশ বেড়েছে। সেটাই তৈরি করে দিয়েছে আমাকে। ওই অভিজ্ঞতা থেকেই শিখেছি অনেক কিছু। আর সেটাই সম্বল করে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার জন্য নেমেছিলাম।’

দেশের ক্রিকেট জনতা এক সময় তাঁকে গ্রহণ না করলেও এই বিশ্বকাপের পর তিনি তাঁদের ভুল প্রমাণিত করেছেন। মিচেলের কথায়, ‘প্রত্যেকের নিজস্ব গল্প থাকে। সবাইকেই উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমি সব সময় টিমের জন্য খেলি। টিমে যাতে জায়গা পাই, তার জন্য খেলি। আর খেলি, কিছু লোককে ভুল প্রমাণিত করার জন্য, কিছু লোককে দেখানোর জন্য, যে ক্রিকেটটা আমিও খেলতে পারি।’

বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরে টিমেরই অংশ ছিলেন তিনি। ১০টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সবচেয়ে সফল ছিলেন মিচেলই। চারটে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। সেখান থেকেই তিন নম্বরে ব্য়াটিং শুরু করেন। বিশ্বকাপের সময়ও ওই জায়গাতেই ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে। ফাইনালেও তিন নম্বরে নেমে খেলা পাল্টে দিয়েছিলেন মিচেল। নিজের এই সাফল্যের জন্য অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিনি।

মিচেল বলছেন, ‘মনে আছে, নিউজিল্যান্ড সফরের সময় অ্যান্ড্রু বলেছিলেন, তুমি চাইলে যে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলার রং পাল্টে দিতে পারো। আর তার জন্য প্রথম বল থেকে খেলাটা শুরু করতে হবে। আমার মানসিকতাই পাল্টে গিয়েছিল তারপর।’

একই সঙ্গে মিচেল মার্শ বলে দিচ্ছেন, ‘বিশ্বের সেরা প্লেয়ারদের প্রথম বল খেলা পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। ওই সফরের পর থেকেই আমি নিজেকে পাল্টানোর কাজটা শুরু করে দিয়েছিলাম। ব্যাটিং কোচকে সঙ্গে নিয়ে আমার ব্যাটিং স্টাইলটা পাল্টে ফেলেছিলাম। যাতে প্রথম বল থেকেই ছয় মারতে পারি। সেই সঙ্গে মার্কাস স্টোইনিসের কথাও বলতে হবে। ও সব সময় আমার পাশে থাকে। ও আর আমি যখন ব্যাট করি, তখন ফারাকটা বুঝতে পারবেন। আসলে আমরা নিজেদের ক্ষমতার উপর আস্থা রাখি। যাতে বিশ্বের সেরা প্লেয়ারদের বিরুদ্ধে সেরাটা দিতে পারি।’