Phil Salt: একটা সময় তো আমি… কেকেআর মেন্টর গম্ভীরের মস্তিষ্ক পাল্টে দিয়েছে ফিল সল্টকে

Jun 20, 2024 | 3:21 PM

WI vs ENG: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাওয়ারহিটারদের প্যাকেজ বললে কম বলা হবে না। কিন্তু সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আন্দ্রে রাসেলরা জমিই খুঁজে পেলেন না। নুনে পুড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘুরিয়ে বলা যেতে পারে, বিশ্বকাপও ফিলিং সল্ট। যে নোনতা স্বাদ আইপিএলে সব টিম পেয়েছে, এবার বিশ্বকাপেও দেখা যাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একাই উড়িয়ে দিলেন কেকেআরের ফিল সল্ট।

Phil Salt: একটা সময় তো আমি... কেকেআর মেন্টর গম্ভীরের মস্তিষ্ক পাল্টে দিয়েছে ফিল সল্টকে
Phil Salt: একটা সময় তো আমি... কেকেআর মেন্টর গম্ভীরের মস্তিষ্ক পাল্টে দিয়েছে ফিল সল্টকে
Image Credit source: PTI

Follow Us

কলকাতা: অবশেষে স্বস্তি ফিরল ইংল্যান্ড শিবিরে। রানে ফিরেছেন দলের ওপেনার ফিল সল্ট (Phil Salt)। সুপার এইটের যাত্রা শুরুতে দলও জিতেছে। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সল্ট। পুরো ম্যাচে তো বটেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক ওভারে বিধ্বংসী মেজাজেও দেখা যায় ফিল সল্টকে। সেখানে তিনি পরপর ৪, ৬, ৪, ৬, ৬, ৪ মারেন। ৭টি চার ও ৫টি ছয় দিয়ে ৮৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন সল্ট। নাইট শিবিরে থাকাকালীন কেকেআরের মেন্টর গৌতম গম্ভীর তাঁর উপর ভরসা রেখেছিলেন। সেই ভরসার মানও দিয়েছিলেন সল্ট। এ বার কেকেআরে তাঁর যে ছন্দ ছিল, সেটাই ফিরল টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) মঞ্চে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাওয়ার হিটিং প্যাকেজ বললে কম বলা হবে না। কিন্তু জস বাটলারের ইংল্যান্ড সেটা আজ প্রমাণ দেয়নি। আন্দ্রে রাসেলদের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন ফিল সল্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর ফিল সল্ট বলেছেন, ‘আমরা এখনই অনেক দূরের কথা ভাবছি না। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। মাঝের ওভারগুলোয় স্পিনের বিরুদ্ধে খেলা একটু কঠিন ছিল।’

গম্ভীর নিজেও ছিলেন ওপেনার। শুধু প্রতিপক্ষর উপর চাপ তৈরি করা নয়, একইসঙ্গে টিমকে টেনে নিয়ে যাওয়া ওপেনারের কাজ, স্কোরবোর্ড সচল রাখা এবং টিমকে আত্মবিশ্বাস দেওয়া। এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলোই গম্ভীরের কাছ থেকে শিখেছেন সল্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও দেখা যাচ্ছে ওই একই ধারায় ব্যাটিং করেছেন। ২৭ বছরের সল্ট যত সময় যাচ্ছে, পরিণত হয়ে উঠছেন। এবং অপরিহার্যও।

১৬তম ওভারে ৩০ রান একাই তুলে নেন সল্ট। রোমারিও শেফার্ডের ওই ওভারে একের পর এক চার-ছক্কা মারতে থাকেন সল্ট। টি-২০ এমন এক ফর্ম্যাট, যেখানে অনেক সময় একটা বলের পর ব্যাটারকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। কারণ সেই সময় অপর প্রান্তে থাকা ব্যাটার একের পর এক বড় শট নিতে থাকে। বল না পেলেও এই ফর্ম্যাটে ধৈর্য হারালে চলে না। ইংল্যান্ডের ওপেনার ফিল সল্টের কথায়, ‘একটা ইনিংসে এমন অনেক কিছুই থাকে, যা খেলায় প্রভাব ফেলতে পারবে। এমন একটা সময় ছিল যখন আমি স্ট্রাইক পাচ্ছিলাম না। তখন আমার চেষ্টা ছিল ক্রিজে পড়ে থাকা। সেটাই করেছি। তাই অনেকক্ষণ থাকতে পেরেছি, এই ইনিংসটা খেলতে পেরেছি।’

নিজে ভালো খেলেছেন, ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সল্ট। তারপরও ভোলেননি সতীর্থ জনি বেয়ারস্টোর কথা। তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন ফিল সল্ট। তিনি বলেন, ‘জনি দারুণ খেলেছে। আমার থেকে ও চাপটা সরিয়ে নিয়েছিল। ওর মতো সতীর্থ পেয়ে আমি দারুণ খুশি।’

Next Article