Edgbaston: উগ্র ইংরেজদের অসভ্যতামি, এজবাস্টনে বর্ণবিদ্বেষের শিকার ভারতীয় সমর্থকরা!

একদিকে যখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে মাঠের লড়াইয়ে ব্যস্ত বিরাট, বুমরা-রা, তখন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উগ্র ইংরেজ সমর্থকদের গালিগালাজ, বর্ণবিদ্বেষের (Racism) শিকার হলেন ভারতীয়রা।

Edgbaston: উগ্র ইংরেজদের অসভ্যতামি, এজবাস্টনে বর্ণবিদ্বেষের শিকার ভারতীয় সমর্থকরা!
বর্ণবৈষম্যের শিকার ভারতীয়রাImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2022 | 1:44 PM

বার্মিংহাম: জমে গিয়েছে এজবাস্টন টেস্ট। মঙ্গলবার, পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১১৯ রান। ভারতের দিকে ঝুঁকে থাকা ম্যাচের মোড় নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাকালাম – স্টোকস জুটি। ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে জনি বেয়ারস্টো- জো রুট। কিন্তু ক্রিকেটের উত্তেজনা শুধু তো আর মাঠে থাকে না। একদিকে যখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে মাঠের লড়াইয়ে ব্যস্ত বিরাট, বুমরা-রা, তখন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উগ্র ইংরেজ সমর্থকদের গালিগালাজ, বর্ণবিদ্বেষের (Racism) শিকার হলেন ভারতীয়রা। জাতীয় দলের সমর্থকদের সংগঠন ভারত আর্মির (Bharat Army) সদস্যরা এই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। এছাড়া এজবাস্টনে (Racism at Edgbaston) ওই পরিস্থিতির শিকার ভারতীয়দের একের পর এক টুইট নড়েচড়ে বসে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। ভিডিয়ো, ছবি ভাইরাল হতেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ভারত আর্মির এক সদস্য বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ এনে টুইটারে লেখেন, “স্টেডিয়ামের ২২ নম্বর ব্লকে ভারতীয়দের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষমূলক কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়। গালিগালাজ করা হয়েছে। উপস্থিত স্টিওয়ার্ডদের অন্তত ১০ বার এই বিষয়ে বলা হয়। অভিযুক্তদের চিনিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।” সেই টুইট রিটুইট করে ইয়র্কশায়ারের প্রাক্তন ক্রিকেটার আজিম রফিক লেখেন, “এমন অভিযোগ পেয়ে আমি হতাশ।” কুশল মালদে নামে এক ভারতীয় সমর্থককে ‘smelly pakis’ বলে কটাক্ষ করে ইংরেজ সমর্থকরা। এই আচরণে হতবাক ওই সমর্থক টুইটারে লেখেন, “সমর্থকদের মধ্যে ছোটখাটো বাক বিতণ্ডা, বচসা হয়েই থাকে। কিন্তু আজকের ম্যাচে প্রথমবার অত্যন্ত নিম্নমানের কুরুচিকর আচরণের শিকার হলাম। নোংরা বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য। অভিযোগ করলে স্টিওয়ার্ডসরা হুইসল বাজিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের বসিয়ে দেয়। ওদিকে গালিগালাজ চলতেই থাকে।”

পঞ্চম টেস্ট শুরুর আগে এজবাস্টনে ইংরেজ সমর্থদের ব্যবহার নিয়ে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। যে কারণে স্টেডিয়ামে যেতে দ্বিধাবোধ করছিলেন ভারতীয়রা। জানতে পেরে এজবাস্টন কর্তৃপক্ষের তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা কথা রাখতে পারেনি। এজবাস্টনের চিফ এক্সিকিউটিভ স্টুয়ার্ট কেন বলেন, “বিভিন্ন রিপোর্ট পড়ে আমি হতাশ। এজবাস্টনকে নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে পরিশ্রম চালিয়েছি। যিনি এই অভিযোগ তুলেছেন তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। এবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্টিওয়ার্ডসদের সঙ্গে কথা বলব।” এজবাস্টন কর্তৃপক্ষের তরফে টুইট করে তদন্তে আশ্বাসের দেওয়া হয়েছে। টুইটে লেখা হয়, “আমরা ভীষণ ক্ষমাপ্রার্থী। এরপর আচরণ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত শুরু করা হবে।”

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এমন ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অফিশিয়াল টুইটার পেজে লেখা হয়, “আজকের টেস্ট ম্যাচে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ পেয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এজবাস্টন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে। ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষের কোনও স্থান নেই।”