Ravi Shastri : সে বার দলে গম্ভীর ছিল… ভারতীয় টিমে বড় অভাব খুঁজে পেলেন শাস্ত্রী
ICC Men's Cricket World cup 2023 : ২০১১ সালের বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলে ছিলেন গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, সুরেশ রায়নার মতো তিন বাঁ হাতি ব্যাটার। শাস্ত্রীর মতে, ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম ছয়ে তিন বাঁ হাতি ব্যাটার দলে ভারসাম্য রেখেছিল। বর্তমান দলের সেটারই অভাব।

কলকাতা : ২০১১ সালে দেশের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে সেটাই শেষ ওডিআই বিশ্বকাপ জয় ভারতের। তারপর এক যুগ পার হয়েছে। আরও একটি ওডিআই বিশ্বকাপ ভারতের মাটিতে। ২০১১ সালের সেই সোনালি মুহূর্ত ফেরানোর স্বপ্নে বুঁদ ভারতীয় টিম। কিন্তু প্রাক্তন জাতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী ২০১১ ও ২০২৩ সালের ভারতীয় দলের মধ্যে বড় ফাঁক খুঁজে পেয়েছেন। তাঁর মতে, ১১-র ভারতীয় টিম ছিল অনেক বেশি ভারসাম্যযুক্ত। এ বারের মেন ইন ব্লু টিমে যার প্রবল অভাব। রোহিত শর্মার দলে গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, সুরেশ রায়নাদের মতো ব্যাটারদের অভাববোধ করবেন শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলে ছিলেন গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং, সুরেশ রায়নার মতো তিন বাঁ হাতি ব্যাটার। শাস্ত্রীর মতে, ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম ছয়ে তিন বাঁ হাতি ব্যাটার দলে ভারসাম্য রেখেছিল। বর্তমান দলের সেটারই অভাব। রোহিত শর্মার দলের টপ অর্ডারে নেই কোনও বাঁ হাতি ব্যাটার। এতে টিমে ব্যালান্স বজায় থাকছে না। প্রাক্তন কোচের মতে, প্রথম ছয়ে অন্তত দু’জন বাঁ হাতি ব্যাটারের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। এতে দলে সঠিক ভারসাম্য আসবে। ঘরের মাঠে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে বিষয়টি ভেবে দেখার প্রয়োজন ভারতীয় দলের।
শাস্ত্রী বলেছেন, “ভারতের জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। ফর্ম অবশ্যই প্রয়োজন সঙ্গে দলে সঠিক ব্যালান্সেরও দরকার। আপনি কি মনে করেন দলে বাঁ হাতি ব্যাটার থাকলে কোনও প্রভাব পড়বে? ওপেনিংয়ের কথা বলছি না, কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারের শীর্ষ তিন বা চারে বাঁ হাতি ক্রিকেটারের প্রয়োজন। প্রথম ছয়ে অন্তত দু’জন বাঁ হাতি ব্যাটারের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যাখ্যা দিয়ে শাস্ত্রী বলেছেন, “যখনই ভারতীয় দল ভালো পারফর্ম করেছে সেখানে বাঁ হাতি ব্যাটারদের বড় অবদান দেখা গিয়েছে। ২০১১ সালে গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং এবং সুরেশ রায়না ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া দলে বেশ কয়েকজন বাঁ হাতি ব্যাটার রয়েছেন। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার কাছে ছিল সনৎ জয়সূর্য, অর্জুন রণতুঙ্গা, আশাঙ্কা গুরুসিংহে ছিলেন।”
সেখানে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে ডান হাতি ব্যাটারদের ছড়াছড়ি। একাদশে একমাত্র বাঁ হাতি রবীন্দ্র জাডেজা। শুভমন গিল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, শ্রেয়স আইয়ারা (যদি সুস্থ হয়ে ওঠেন) এশিয়া কাপ ও ওডিআই বিশ্বকাপে একাদশে নিশ্চিত। তাই মিডল অর্ডারে কোনও বাঁ হাতি ব্যাটারকে অন্তর্ভুক্ত করা কঠিন। যদিও শাস্ত্রী বলেছেন দলে তরুণ বাঁ হাতি ব্যাটারের অভাব নেই। যে কোনও সিনিয়র ক্রিকেটারের পরিবর্তে বিশ্বকাপ টিমে নেওয়া যেতে পারে তাঁদের। তিনি বলেন, “উইকেটকিপিং বিভাগে ঈশান কিষাণ রয়েছে, সঞ্জুও রয়েছে। যশস্বী জয়সওয়াল, তিলক ভার্মাদের মতো প্রতিভা রয়েছে যাদের দলের যে কোনও সিনিয়র ক্রিকেটারের পরিবর্তে খেলার ক্ষমতা রয়েছে। “





