বেরাহ: আশিষ নেহরার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন তিনি। সুনীল গাভাসকরের মতো ক্ষুরধার বিশেষজ্ঞ পর্যন্ত মনে করেন, ভারতীয় টিমের ভবিষ্যৎ হতে পারেন। ক্রিকেটমহল যখন প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছে, তখন তাঁর ট্র্যাকরেকর্ড বলছে, কুড়ি-বিশের ফর্ম্যাট টপকাতে পারেননি এখনও। দক্ষিণ আফ্রিকায় সুযোগ কি আসবে? প্রথম ওয়ান ডেতে অভিষেক হয়েছে সাই সুদর্শনের। আত্মপ্রকাশেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় লাইনআপে ফের নতুন নাম। এ বার অপেক্ষার অবসান। ওয়ান ডে তে অভিষেক হয়ে গেল রিঙ্কু সিংয়ের। দুবাইয়ে মিনি নিলামে কেকেআর যখন রেকর্ড টাকায় স্টার্ককে কিনতে ব্যস্ত, তখন ওয়ান ডে ক্রিকেটে পা দিলেন রিঙ্কু। গত এক বছরে এভারেস্টের মাথায় চড়েছেন যিনি। ৬ বলে ৫টা ছয় মেরে উত্থান হয়েছিল যাঁর, সেই তিনিই এ বার অন্য ফর্ম্যাটে জাত চেনাবেন নিজের।
ঘরের মাঠে হাতছাড়া হয়েছে বিশ্বকাপ। পুরো টুর্নামেন্টে দুরন্ত পারফর্ম করেও শেষ রক্ষা হয়নি ভারতের। বিশ্বকাপ শেষ হতে একের পর এক সিরিজ খেলছে ভারত। কার্যত খোঁচা খাওয়া বাঘ হয়ে উঠেছে টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপ শেষ হতেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত। এরপর প্রোটিয়াদের থেকে টি-২০ সিরিজ ছিনিয়ে নিয়েছে নীল জার্সিরা। এ বার লক্ষ্য ওয়ানডে জয়। সেই লক্ষ্যেই আজ, মঙ্গল বার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। মঙ্গলে, দলের ভরসা রিঙ্কুই। এই ম্যাচেই অভিষেক হল তাঁর। টি-২০ অভিষেক হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এ বার প্রটিয়াদের বিরুদ্ধে ওডিআইয়ের মঞ্চে পা দিলেন রিঙ্কু। পরের বছর রয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ। রিঙ্কুর চোখ এখন বিশ্বকাপে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নজর কাড়তে পারলে বিশ্বকাপের দরজা খোলা সহজ হবে রিঙ্কুর কাছে। এ ছাড়া সাদা বলের ক্রিকেটে দুই ফর্ম্যাটেই জায়গা করে নেওয়ার জন্য এই সিরিজ ভীষণভাবে্ গুরুত্বপূর্ণ রিঙ্কুর কাছে।