দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান। দ্বিতীয় বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত। দ্বিতীয় বার জিতলেন রোহিতও। উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই টিমের এক তরুণ সদস্য ছিলেন রোহিত শর্মা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দ্বিতীয় ট্রফি এল সেই রোহিত শর্মার নেতৃত্বেই। বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট থেকে সিনিয়র দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় একসঙ্গে খেলছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। তাঁদের শুধুই সতীর্থ বলা যায় না। মাঠে রো-কো জুটি, বন্ধুও। আর বন্ধুর পথই বেছে নিলেন রোহিত শর্মা। বিরাটের মতো তিনিও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানালেন।
বছর খানেক আগেও এই দুজনকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই দু-জনকে অচল বলা হচ্ছিল। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে এই ফরম্যাটে আর দেশের হয়ে খেলছিলেন না রোহিত-বিরাট। সে কারনেই আরও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, এই বিশ্বকাপে তাঁরা সুযোগ পাবেন কিনা। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আগেই বোর্ড সচিব ঘোষণা করে দেন, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও রোহিত শর্মাই ক্যাপ্টেন থাকবেন। এ বছরের শুরুতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেন। রোহিত শর্মা একটি সেঞ্চুরিও করেছিলেন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে একটি সেঞ্চুরি করলেও সেই অর্থে ছন্দে ছিলেন না রোহিত শর্মা। বন্ধু বিরাট কোহলি ছিলেন উল্টো পথে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও বিশ্বকাপে শুরু থেকে হতাশ করছিলেন। রোহিত অবশ্য় বিশ্বকাপে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছিলেন। ফাইনাল ম্যাচে রোহিত ব্য়াট হাতে ব্যর্থ হতেই দায়িত্ব নেন বিরাট কোহলি। সেরা মঞ্চে সেরা পারফরম্যান্স। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জেতেন। সেখানেই বিরাট কোহলি ঘোষণা করে দেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিচ্ছেন তিনি। তরুণ প্রজন্মের উপরই দায়িত্ব ছাড়ছেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
বিরাটের ঘোষণার কিছু সময়ের ব্যবধানে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাও ঘোষণা করেন, দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে আর খেলবেন না। ১৩ বছর পর আইসিসি ট্রফি জিতেছে ভারত। এই আনন্দের মাঝেই দুই মহারথী টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে বিদায় জানালেন। সঙ্গে যেন এই জল্পনাও উসকে দিলেন। তা হলে কি রোহিত-বিরাট সাদা বলের ক্রিকেটেই আর দেশের হয়ে খেলবেন না? তাঁদের ফোকাস কি শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই থাকবে? আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০২৭ সালে ওয়ান বিশ্বকাপ থাকায় চ্যাম্পিন্স ট্রফিও ওয়ান ডে ফরম্যাটেই হবে। বিরাট-রোহিত কি আদৌ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবেন? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।