ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৩ ব্যবধানে হার! ভারতের তারকা সমৃদ্ধ টিমকে নিয়ে অবাক হওয়ারই কথা। এক যুগ পর ঘরের মাঠে সিরিজ হারে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা মন্তব্য করেছিলেন, একবার তো মেনে নেওয়াই যায়। মুম্বই টেস্টেও হার, ভারতীয় দলের মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরাই শুধু নন, প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও তাজ্জব বনে গিয়েছেন এই পারফরম্যান্সে। সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সেওয়াগ, হরভজন সিংরা মনে করছেন, এমন অভিজ্ঞতার পর নানা বিষয়েই ভাবা প্রয়োজন রয়েছেন। কী বলছেন মাস্টারব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর?
টেস্ট ক্রিকেটে অযথা পরীক্ষা-নিরীক্ষা যে ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ যেন তার অন্যতম উদাহরণ। মাস্টারব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ঘরের মাঠে ০-৩ হার, হজম করা খুব কঠিন। নিজেদের একটু ভেবে দেখা উচিত। এই হারের কারণ কি পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবের জন্য? নাকি পর্যাপ্ত ম্যাচ প্র্যাক্টিসের অভাব?’ ওয়াংখেড়েতে প্রথম ইনিংসে অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন শুভমন গিল। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস। কিছুটা ভরসা দিয়েছেন ঋষভ পন্থ। এই দু-জনকে প্রশংসায় ভরালেও বাকিদের পারফরম্যান্সে বীতশ্রদ্ধ কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর।
দেশের প্রাক্তন বিধ্বংসী ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ লিখেছেন, ‘জানি একজন সমর্থক হিসেবে খারাপ সময়েও পাশে থাকাটা জরুরি। কিন্তু টিমের এই জঘন্য পারফরম্যান্স। স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কিছু পরীক্ষা ঠিক আছে, তবে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করাই বোধ শ্রেয়। খুবই খারাপ পারফরম্যান্স।’
দেশের প্রাক্তন অফস্পিনার হরভজন সিং দলের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি হতাশ পিচ নিয়েও। ভাজ্জির কথায়, ‘ঘূর্ণি পিচই যেন আমাদের শত্রু হয়ে উঠেছে। বহু বছর ধরেই বলে আসছি, আমাদের ভালো পিচে খেলা উচিত। এমন ঘূর্ণি পিচ সব ব্যাটারকেই সাধারণ মানের মনে হয়েছে। এই ধরনের পিচে ২-৩দিনেই ম্যাচ শেষ। এখানে উইকেট নেওয়ার জন্য মুরলি, শেন, সাকলিনের মতো স্পিনার প্রয়োজন পড়ে না। যে কেউ উইকেট নিতে পারে।’
সচিন-ভাজ্জিরা যেমন ভারতের পারফরম্যান্সে হতাশ, তেমনই তারকাহীন নিউজিল্যান্ডের টিমগেমকে কুর্নিশ জানাতে ভুলছেন না। নিউজিল্যান্ডকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সচিনরা।