মুম্বই: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। আগামীকাল সকালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (MCG) শেন ওয়ার্নের (Shane Warne) শেষকৃত্য। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেন ওয়ার্নকে শেষ বিদায় জানাবে অস্ট্রেলিয়া (Australia) ও গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। আর এমন দিনের আগেই শেন ওয়ার্নকে নিয়ে স্মৃতি চারণায় ক্রিকেটে বিশ্বের আর একে লেজেন্জ সচিন তেন্ডুলকার (Sachin Tendulkar)। মাস্টার ব্লাস্টারের মনে পরে যাচ্ছে ১৯৯১ সালের কথা। যখন প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিলেন সচিন ও ওয়ার্ন (Sachin vs Warne)। অস্ট্রেলিযা সফরে একটা প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম দেখা হয়েছিল দুজনের। সচিন তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটা পা দিয়েছেন। ওয়ার্ন তখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেননি। অস্ট্রেলিয়া প্রধানমন্ত্রী একাদশের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ওয়ার্ন। “অস্ট্রেলিয়ার পিচে বল স্পিন হয় না। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই বল ঘোড়াতে শুরু করেছিল। তখন সবার নজর ছিল অস্ট্রেলিয়ার অনান্য নামি বোলারদের দিকে। ওর দিকে কারও নজর ছিল না সে ভাবে। মনে আছে, আমি বার দুয়েক বিট হয়েছি ওর বলে। ” ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল শেন ওয়ার্নের।
প্রথম দেখার পাশাপাশি শেষ দেখার কথাও উঠে এসেছে সচিনের মুখে, “গত বছর আইপিএল শেষে ছুটি কাটাতে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম। লণ্ডনে দেখা হয়েছিল ওয়ার্নের সঙ্গে। গল্ফ খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আমায়। ওয়ার্ন সঙ্গে থাকলে সময়টা একেবারেই হালকা মেজাজে কাটবে। নানান গল্প, ওর জোক, ফুল এন্টারটেইমেন্ট। ও খুব ভালো গল্ফ খেলত। শুধু যে বোলার হিসেবে স্পিন করত তাই নয়, বরং গল্ফের স্টিক হাতে সুইংটাও ছিল দারুণ। ছিল বলতে ভালো লাগছে না। ও এখনও আমাদের হৃদয়ে বেঁচে আছে।”
শেষ দেখা হয়েছিল লণ্ডনে। কিন্তু শেষবার কথা হয়েছিল কিছুদিন আগে। “শেন ওয়ার্নের বাইক অ্যাক্সিডেন্টের খবর পেয়ে ওকে টেক্সট করেছিলাম। জানতে চয়েছিলাম ও কেমন আছে। ওয়ার্ন বলেছিল, বাইকটা স্পিন করাতে গিয়েছিলাম, স্কিড করেছিল। তাই অ্যাক্সিডেন্ট। আমি পাল্টা বলি, বল স্পিন করানোটা ঠিক আছে, বাইক স্পিনটা মোটেই ভালো আইডিয়া নয়। উত্তরে ও বলল, আহত হয়েছি কিন্তু সেরে উঠব। সেরে উঠতে হবে, অনেক কারণ আছে। ৪-৫ দিন পেইন কিলার খেলেই ফিট হয়ে যাব।” বাইক অ্যাক্সিডেন্টের ধাক্কা সামলে উঠেছিলেন। কিন্তু জীবনের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি শেন ওয়ার্ন।
আরও পড়ুন: FIFA World Cup: তীব্র বিরোধীতায় ড্রিম প্রজেক্ট থেকে ক্রমশ দূরে সরছে ফিফা