Shubman Gill: দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি, শুভমনের আগ্রাসনে খুঁজে পাওয়া গেল না শাহিনদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অভিষেক সেনগুপ্ত

Sep 10, 2023 | 4:34 PM

India vs Pakistan: রবিবারের মহারণ পাকিস্তানের দুরন্ত পেস অ্যাটাকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের অ্যাসিড টেস্ট। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে মিডল অর্ডার খুব গুরুত্বপূর্ণ ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু টপ অর্ডার যদি ভালো শুরু দিতে পারে, তা হলে চাপ অনেক কমে যায়। বিশেষ করে কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

Shubman Gill: দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি, শুভমনের আগ্রাসনে খুঁজে পাওয়া গেল না শাহিনদের
দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি, শুভমনের আগ্রাসনে খুঁজে পাওয়া গেল না শাহিনদের
Image Credit source: BCCI

Follow Us

কলম্বো: বল দেখো, বোলারকে দেখো না! বিশেষজ্ঞ মহল টোটকা দিয়েছিল। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহদের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় ভুগছিল ভারত। নতুন-পুরনো বলে গতি, সুইং, ইয়র্কার, কাটে পাক বোলাররা সমস্যায় রেখেছিল ভারতীয় ব্যাটারদের। আরও ভালো করে বললে, ভারতের টপ অর্ডারকে যেন টার্গেট করে ফেলেছিল বাবর আজমের টিম। এক সপ্তাহ আগের বিবর্ণ ছবি রাতারাতি বদলে ফেললেন রোহিত শর্মারা। পাকিস্তানের সেরা বোলার শাহিনকেই পাল্টা টার্গেট করে ভারতীয়রা বুঝিয়ে দিলেন, যতই বাবর আজমের টিম গোছানো হোক, এশিয়া কাপের সুপার ফোর সহজ হবে না। রোহিত যত না আগ্রাসী, তার থেকে অনেক বেশি ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ শুভমন গিল (Shubman Gill)। রোহিত-বিরাট পরবর্তী ভারতীয় টপ অর্ডার কেন নিরাপদ হাতে, পঞ্জাবি তরুণ বোঝালেন। TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত।

রবিবারের মহারণ পাকিস্তানের দুরন্ত পেস অ্যাটাকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের অ্যাসিড টেস্ট। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে মিডল অর্ডার খুব গুরুত্বপূর্ণ ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু টপ অর্ডার যদি ভালো শুরু দিতে পারে, তা হলে চাপ অনেক কমে যায়। বিশেষ করে কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত দু’বছরের ওয়ান ডে রেকর্ড, ফর্ম, রানের খাতা, বোলারদের ধারাবাহিকতা, সব ধরলে পাকিস্তান অত্যন্ত ব্যালান্স টিম। কিন্তু ভারতীয় ওপেনাররা যদি ফর্মে থাকেন, তা হলে বোলাররা কার্যত দর্শক হয়ে পড়তে পারেন, তা দেখিয়ে দিলেন ২৩ বছরের গিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে ১০ করেছিলেন। পা নড়ছিল না। অস্বস্তিতে ছিলেন শাহিনের সুইংয়ে। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই গিলই গিলে খেলেন শাহিনকে। নতুন বলে প্রথম স্পেলে ৩১ রান দিয়েছেন শাহিন। খেয়েছেন ৬টা চার। যার সব ক’টাই মেরেছেন শুভমন। যে কোনও আগ্রাসী বোলারের বিরুদ্ধে ফিরে আসার সহজ শর্ত হল, তাঁর দুর্বল বলে আক্রমণ করা। গিল সেটাই করেছেন।

ফর্মে থাকলে গিল অফসাইডেই বেশি খেলেন। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম ছন্দে থাকা ওপেনারকেই দেখতে পেলেন। এমনিতে কলম্বোর পিচে তেমন প্রাণ নেই। নতুন বল ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারলে বিপক্ষকে চাপে রাখা যায়। উইকেট তোলা যায়। পাক বোলারার তাই করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গিল আর রোহিত তাড়াহুড়ো করেননি। অপেক্ষা করেছেন খারাপ বলের জন্য। শুভমন চেনা ছন্দে ব্যাট করলেও ৩০ রানের মাথায় নাসিম শাহর বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। পাক ফিল্ডাররা বুঝতেই পারেননি। এ ছাড়া আর কোনও ভুল করেননি শুভমন। রোহিত শুরু করলেন একটু দেরিতে। রোহিত-শুভমন যে ভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বড় স্কোর অপেক্ষা করে রয়েছে বাবর আজমদের জন্য। শাহিনকে প্রথম স্পেলে সে ভাবে দাঁড়াতেই দেননি শুভমন। সেই তাঁরই স্লোয়ার পড়তে না পেরে শাহিনকে উইকেট দিয়ে গেলেন শুভমন। তবু ৫২ বলে ৫৮ রান কিন্তু কিছুটা হলেও চিন্তামুক্ত করবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।

Next Article