India vs South Africa: এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ পকেটে প্রোটিয়াদের
প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটা পকেটে পুরে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিং-বোলিং কোনওটাতেই টিম ইন্ডিয়াকে পাওয়া গেল না মেজাজে। সবটাই খুব সাদামাটা। কে এল রাহুলের (KL Rahul) অধিনায়কত্বের মতই।
ভারত – ২৮৭/৬
দক্ষিণ আফ্রিকা – ২৮৮/৩
শুক্রবার সকালে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সূচি ঘোষণা করেছে আইসিসি (ICC)। আজ শুক্রবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ হার ভারতের (India)। দুটো বিষয়ের মধ্যে কোনও মিল নেই। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলে যোগাযোগ পাওয়া যাবে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে, সাদা বলের ভারতীয় ক্রিকেট যেন ছন্দ হারিয়েছে। যে দলটা লাল বলে বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তারাই সাদা বলে ছন্নছাড়া। এই সত্যিটাই চাপে রাখবে ভারতকে। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটা পকেটে পুরে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিং-বোলিং কোনওটাতেই টিম ইন্ডিয়াকে পাওয়া গেল না মেজাজে। সবটাই খুব সাদামাটা। কে এল রাহুলের (KL Rahul) অধিনায়কত্বের মতই। রোহিত শর্মা ফিরে এই দলটার হাল কি ধরতে পারবেন? চলতি বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আগামী বছর ঘরের মাঠে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। চ্যালেঞ্জটা যে সত্যিই কঠিন। একটা সিরিজ হার হয়তো বিরাট কোন অঘটন নয়। কিন্তু যে ক্ষতগুলো সবার সামনে এলো, তাতে প্রলেপ দিতে না পারলে ভবিষ্যতে সমস্যা বাড়তে বাধ্য।
South Africa seal comfortable win to take unassailable lead in the series ??
Half-centuries from openers Janneman Malan and Quinton de Kock take them to a 2-0 series win! ??
Watch the series live on https://t.co/CPDKNxoJ9v (in select regions)#SAvIND | https://t.co/GgjKcxXNrB pic.twitter.com/MWeG1l4y6s
— ICC (@ICC) January 21, 2022
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন ভারত অধিনায়ক কেএল রাহুল। দলে কোনও পরিবর্তন নেই। ধাওয়ান-রাহুলের ওপেনিং জুটি স্কোরবোর্ডে তুলল ৬৩ রান। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া শিখর ধাওয়ান এদিন যদিও খুব একটা দাগ কাটতে পারলেন না। শুরুটা ভালো করেছিলেন, তবে স্লো উইকেটে আক্রমণের রাস্তায় হাটতে গিয়ে উইকেট হারালেন। তিন নম্বরে নামা বিরাট শূন্য হাতে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। এরপর রাহুল-পন্থের জুটি কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া কে। একাধিকবার সুযোগ পেয়ে ৫৫ রানের ইনিংস রাহুলের। ৭১ বলে ৮৫ পন্থের। এই দুজন প্যাভিলিয়নে ফিরতেই আবার ঝটকা ভারতীয় ব্যাটিংয়ে । অবস্থা সামলালেন শার্দূল ঠাকুর ও অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস শার্দুল ঠাকুরের। ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান স্কোর বোর্ডে তুলল ভারত।
জবাব দিতে নেমে ওপেনিং পার্টনারশিপ ম্যাচ ও সিরিজের ফলাফল লিখে ফেললেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার। ১৩২ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। ৭৮ রানের ইনিংস খেলে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন ডি’কক তখন ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার দিকেই ঢলে পড়েছে। বাভুমা ও মালানের পার্টনারশিপ দক্ষিণ আফ্রিকাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেল জয়ের দিকে।
চাহাল ও বুমরা শেষ চেষ্টা করলেন একবার। পরপর দুই ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন মালান ও বাভুমাকে। যে চাপটা তৈরি হলো সেটা ধরে রাখার মত কেউ ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাই বিশেষ চাপের মুখে পড়তে হল না ম্যাচ ও সিরিজটা জিতে নিতে। প্রথম ম্যাচে ৩১ রানের জয়ের পর, দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। রবিবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ কেপটাউনে। প্রোটিয়াদের দেশ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে ভারতকে। রবিবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা আটকানোর লড়াই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত ২৮৭-৬ (পন্থ ৮৫, রাহুল ৫৫, শামসি ২-৫৭) দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৮-৩ (মালান ৯১, ডি’কক ৭৮, বুমরা ১-৩১)