কলকাতা: চ্যাম্পিয়নই চেনেন চ্যাম্পিয়নকে! বিতর্ক যতই থাকুক, যতই চলুক সমালোচনা, বিরাট কোহলি (Virat Kohli) যে প্রবল ভাবে ফর্মে ফিরতে চলেছেন, তার আভাস দিয়ে রাখলেন সুনীল গাভাসকর। অস্ট্রেলিয়ায় মাটিতে পা টেস্টের সিরিজ শুরু হবে ২২ নভেম্বর। প্রথম টেস্ট পারথে। এই সিরিজ ভারত জিতলে হ্যাটট্রিক হবে। জয়ের খাতায় অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেক এগিয়ে ভারত। ঘরে-বাইরে টানা দশ বছর অজিদের বিরুদ্ধে জিতেছে ভারতীয় টিম। তবে এ বারের সিরিজ অন্য রকম হবে, এমনই বিশ্বাস অনেকের। তার মধ্যেই আবার সানি পাশে দাঁড়িয়ে পড়লেন বিরাটের। কী বলছেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার?
অনেক দিন সেঞ্চুরি পাননি। চলতি বছর গড় ২২.৭২। ঘরের মাঠে শেষ দুটো সিরিজে সর্বোচ্চ ৯১। তবু বিরাটকে নিয়ে আশাবাদী গাভাসকর। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার মাঠে বিরাটের গড় ৫৪.০৮। সানির মন্তব্য়, ‘নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রান পায়নি বলেই ওর মধ্যে প্রবল খিদে থাকবে। গত সফরের অ্যাডিলেড টেস্টটা নিশ্চয়ই মনে আছে। পুরো টিম ৩৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিরাট দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ করেছিল। অ্যাডিলেড বিরাটের ঘরের মাঠের মতো। এই পারথে কিন্তু ২০১৮-১৯ মরসুমে একটা দারুণ সেঞ্চুরি করেছিল। যতবার নেমেছে, রান করেছে। এটা বিরাটকে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। ক্রিকেটে একটু কপাল লাগে। বিরাটের শুরুটা যদি ভালো হয়, তা হলে কিন্তু বড় রানের প্রত্যাশা রাখাই যেতে পারে।’
সানি যখন এই কথা বলছেন, তখন সঞ্জয় মঞ্জরেকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান বোলিং টিমের লক্ষ্য়টা তুলে ধরেছেন। ‘আমার মনে হয় বিরাট খুব ভালো করে জানে, ওর জন্য কী পরিকল্পনা রাখবে বিপক্ষ টিম। অফস্টাম্পের ঠিক বাইরের লাইনটা ওরা ধরার চেষ্টা করবে। যাতে বিরাটকে পড়তে সুবিধা হয় ওদের। ইদানীং বিরাট অফস্টাম্পের বাইরের খুব একটা খেলছে না। ড্রাইভের বলের জন্য অপেক্ষা করে। অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা কিন্তু ওকে বডিলাইন বলও করতে পারে।’
মঞ্জরেকরের একই সঙ্গে যুক্তি, ‘এই লাইনটা কিন্তু বিরাটের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ড দারুণ ভাবে ব্যবহার করেছে। বিরাট যদি অফস্টাম্পের বাইরের বলে ফোকাস করে, তা হলে কিন্তু হ্যাজেলউডের মতো বোলার আবার ভ্যারন ফিল্যান্ডারের মিডলস্টাম্প লাইনটা ধরবে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে অস্ট্রেলিয়া। এটা কিন্তু বিরাট নিজেও জানে।’