দীপঙ্কর ঘোষাল : আইপিএলে চার-ছয়ের বন্যাই দেখতে চান ক্রিকেটপ্রেমীরা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচেও তাই দেখা গেল। এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি। সানরাইজার্সের হয়ে সেঞ্চুরি করেন হেনরিখ ক্লাসেন। তেমনই সেঞ্চুরির ইনিংসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে জেতালেন বিরাট কোহলি। স্ট্রাইকরেট খুবই ভালো। কিন্তু নিখুঁত ইনিংস। যা অবাক করার মতোই। টি-টোয়েন্টিতে এমন ইনিংস খুবই কম দেখা যায়। বিরাট কোহলি চাইলে ব়্যাম্প শট, স্কুপ কিংবা রিভার্স সুইপ খেলতে পারেন না, তা তো নয়! কিন্তু তাঁকে এমন শট খেলতে দেখা যায়নি। অন্তত এই ম্যাচে তো নয়ই। অথচ আইপিএল কিংবা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বৈচিত্রে ভরা শটই বেশি দেখা যায়। এমন শট না খেলার কারণটাও নিজেই ব্যাখ্যা করলেন বিরাট। ম্যাচ শেষের সেরার পুরস্কার হাতে অনেক কিছুই জানালেন। কী বললেন আরসিবির জয়ের নায়ক? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইপিএল কেরিয়ারের ষষ্ঠ শতরান। সংখ্যায় ছুঁলেন আরসিবির প্রাক্তন ক্রিকেটার ক্রিস গেইলকে। তিনিও আইপিএলে সব মিলিয়ে ছ’টি শতরান করেছেন গেইল। এই ম্যাচে শতরান কতটা গুরুত্ব রাখে? ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলি বলেন, ‘আমি এমন প্লেয়ার নই যে দেখতে সুন্দর এমন শট খেলতে পছন্দ করে। কেন না, আমাদের সারা বছরই ক্রিকেট খেলতে হবে। আমার কাছে ফ্যান্সি শট খেলাটা কিংবা উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসাটা কাম্য নয়।’
সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ৬৩ বলে ১০০ রান করে আউট হন বিরাট। ম্যাচটা ফিনিশ করে আসতে পারলে হয়তো আরও খুশি হতে পারতেন। সেটা না হলেও ম্যাচ জেতানো একটা ইনিংস খেলতে পারাটাও তৃপ্তির। বিশেষত, এমন একটা সিচুয়েশন, যেখানে না জিততে পারলে প্লে-অফের রাস্তাটাই বন্ধ হয়ে যাবে। বিরাট আরও যোগ করলেন, ‘আইপিএল শেষে আমাদের কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটও রয়েছে (WTC FINAL)। সুতরাং, নিজের টেকনিক নিয়ে আমাকে নিখুঁত থাকতেই হবে। সেই টেকনিক ব্যবহার করে আমি দলের জয়ে ভূমিকা নিতে পারি কীনা, সেই রাস্তাই খুঁজতে হবে। সেটা করতে পেরে আমি গর্বিত। আর এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইমপ্যাক্ট রাখতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এতে টিমেরও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আমি সেটাই করে যেতে চাই।’
আইপিএলে শেষেই যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ওভালে ৭-১১ জুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। টানা দ্বিতীয় বার ফাইনালে উঠেছে ভারত। এই ট্রফি জিততে ব্যাটার বিরাট কোহলির ফর্মে থাকা কতটা জরুরি, সেটা ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা খুব ভালো ভাবেই জানেন।