ইন্দোর : সালটা ২০১৯। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ ছিল ভারতের। তিন দিনও লাগেনি ভারতের ম্যাচ জিততে। এরপরই কলকাতায় ছিল গোলাপি বলে দিন রাতের টেস্ট। ইন্দোর টেস্ট জিতে চতুর্থ দিন হোলকার স্টেডিয়ামেই গোলাপি টেস্টের প্রস্তুতি সেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। এ বার আসা যাক, ২০২৩ এ। শুক্রবার আড়াই দিনেই ম্যাচ শেষ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯ উইকেটের ব্য়বধানে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। ম্য়াচ শেষ হয়েও যেন শেষ হয়নি। হারের কারণ হাতড়ে বেড়াচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। ইন্দোরে জিতলে বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেত ভারতের। কিন্তু নিজেদের তৈরি ব়্যাঙ্ক টার্নারে নিজেরাই ব্য়াটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়েছে। ব্য়াটারদের অ্যাপ্লিকেশন নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে। পিচের রহস্য় বুঝতে চতুর্থ দিন তাই হোলকারের সেই পিচেও অনুশীলন সাড়ল টিম ইন্ডিয়া। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
নাগপুর ও দিল্লি টেস্ট জিতে সিরিজে ২-০ এগিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখানেও স্পিন সহায়ক পিচ ছিল। ভারত জেতায় এত বেশি আলোচনা হয়নি। বিদেশি সংবাদমাধ্য়ম এ নিয়ে আওয়াজ তুললেও ভারতীয় মিডল অর্ডারের ব্য়াটিং পারফরম্য়ান্সে তাদের সমালোচনা ধোপে টেকেনি। কিন্তু ইন্দোরে ম্যাচের প্রথম দিন ষষ্ঠ ওভার থেকেই বিশাল টার্ন দেখা যায়। শুধু তাই নয়, অসমান বাউন্সও দেখা যায়। দুই উইকেট কিপার অ্যালেক্স ক্য়ারি ও শ্রীকার ভরত স্পিনারদের অনেক ডেলিভারিই বুকের উচ্চতায় ধরেছেন। আবার কখনও অনেক ডেলিভারি হাঁটু অবধি উঠেছে।
ইন্দোরে লাল এবং কালো মাটির সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছিল পিচ। ভারতীয় শিবিরও কি পিচ বুঝতে ভুল করেছে? ভারতীয় শিবিরে পরিকল্পনা ছিল ইন্দোরে জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করা এবং আমেদাবাদে গ্রিন টপ তৈরি করে ফাইনালের প্রস্তুতি সারা। কিন্তু ইন্দোরের হার সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে। ম্যাচের চতুর্থ দিন তাই টিম ইন্ডিয়া ছুটল ইন্দোরে। ম্যাচের পিচেও প্রস্তুতি সারতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি অন্য় পিচেও প্রস্তুতি সারেন শ্রেয়স, জাডেজারা। রাহুল দ্রাবিড় দীর্ঘ সময় ম্য়াচের পিচ পর্যবেক্ষণ করলেন।