লন্ডন : বাজবল। ইংল্যান্ড ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে প্রত্যাশার শব্দ। টেস্ট ক্রিকেটে নতুন জোয়ার এনেছে। যদিও এই বাজবল ভারতের মাটিতে বা বলা ভালো উপমহাদেশে কতটা সাফল্য পাবে, সন্দেহ থেকেই যায়। একদিন পরই শুরু হচ্ছে অ্যাসেজ সিরিজ। নজরে সেই বাজবল। সদ্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে প্যাট কামিন্সরা। ওভালের ফাইনালে ভারতকে ২০৯ রানের ব্যবধানে ভারতকে হারিয়েছেন কামিন্সরা। এ বার তাদের সামনে অ্যাসেজ জয়ই লক্ষ্য। কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই একটা বিষয়ই ঘুরছে, বাজবল। জো রুট ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পর দায়িত্ব দেওয়া হয় বেন স্টোকসকে। কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। সেই থেকেই বাজবলের শুরু। টেস্ট ক্রিকেটও একদিনের মেজাজে খেলে ইংল্যান্ড। অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আর অ্যাসেজের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
অ্যাসেজের জন্ম সেই ১৯৮২ সালে। তারপর থেকে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ আলাদা মাত্রা পেয়েছে। তবে এ বারের অ্যাসেজ ইংল্যান্ডের ঘরের মাঠে, অনেক শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই একাদশ ঘোষণা করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। অবসর ভেঙে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে মইন আলির। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম-বেন স্টোকস জুটির সৌজন্যে সাফল্যের মুখ দেখছে ইংল্যান্ড। শেষ ১৭টির মধ্যে ১২টি টেস্টই জিতেছে ইংল্যান্ড। রান তাড়ায় ঝুঁকি নিয়েও জেতার চেষ্টা করেছেন বেন স্টোকসরা। গত এক বছরে কোনও সিরিজ হারেনি ইংল্যান্ড। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধেও একই অ্যাপ্রোচ থাকবে কীনা, সেটারই অপেক্ষা।
এজবাস্টনে প্রথম টেস্ট। তার আগে অজি তারকা স্টিভ বলেছেন, ‘বাজবলের শুরুতেই বলেছিলাম, আমাদের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে বাজবল কেমন কাজ করে, সেটা দেখার অপেক্ষা করেছি। ওরা নিঃসন্দেহে ভালো দলের বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছে। তবে আমাদের বিরুদ্ধে এখনও খেলেনি। দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।’ বাজবলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন বেন স্টোকস। এই সিরিজেও তাঁর ওপরই অনেকটা নির্ভরশীল থাকবে ইংল্যান্ড শিবির। একটি কলামে স্টোকসের মত, ‘প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময় ব্যর্থ হয়। আমরাও হতে পারি। অ্যাসেজ বলেই খেলার ধরন পাল্টাতে হবে। তা নয়।’