সিরিজ শেষের অপেক্ষা নয়, মাঝপথেই ঘোষণা করে দিলেন। কয়েক ঘণ্টা আগে যেটা ছিল শুধুই জল্পনা। ম্যাচটা দ্রুত শেষ হতেই জল্পনা বদলে গেল বাস্তবে। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন অশ্বিন। তার আগেই অবশ্য নানা দিক থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ আলোচনাই বলে দিচ্ছিল, এ শুধু আড্ডা নয়। তারপর আলিঙ্গন। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখে হাসি রেখেই বললেন, ‘আমার শেষ দিন’। আর কী বললেন?
প্রতিটা ক্রীড়াবিদের জীবনেই এমন একটা দিন আসে। সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু দিনটা আসে। অশ্বিনের সফল কেরিয়ারেও এল। বলছেন, ‘ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে এটাই আমার শেষ দিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফরম্যাটেই। যদিও আমি মনে করি, আমার মধ্যে এখনও কিছুটা ক্রিকেট বাকি রয়েছে। সেটা ক্লাব স্তরের ক্রিকেটেই প্রকাশ করব। দেশের হয়ে এটাই শেষ।’
পাশে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। তাঁকে দেখিয়ে যোগ করলেন, ‘আমি প্রচুর মজা করেছি। এটুকু বলতে পারি, অন্যান্য সতীর্থর পাশাপাশি রোহিতের সঙ্গেও দারুণ কিছু সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করেছি। গত কয়েক বছর অনেক সতীর্থকেও বিদায় জানাতে হয়েছে (অনেকেই অবসর নিয়েছেন)। পুরনোদের মধ্যে আমরা হাতে গোনা কয়েকজনই ছিলাম। আমিও ড্রেসিংরুম ছেড়ে যাচ্ছি। এই দিনটাকে আন্তর্জাতিক স্তরে শেষ বলে তুলে রাখব।’
অন্যান্য সতীর্থর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না। অশ্বিনের কথায়, ‘অনেকেই ধন্যবাদ জানানোর রয়েছে। তবে সবার আগে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই ভারতীয় বোর্ডকে। অনেক সতীর্থ সম্পর্কেই বলতে ইচ্ছে করছে। কয়েকটা নাম না বললেই নয়। আমার এই সফরে সমস্ত কোচকে ধন্যবাদ। সতীর্থদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে নামগুলি নিতে চাই রোহিত, বিরাট, অজিঙ্ক, পূজারা-আমার এই সফরে ওরা অনবদ্য কিছু ক্যাচ নিয়েছে। ওদের জন্যও অনেক উইকেট পেয়েছি।’
সাংবাদিক সম্মেলনে এলেও আগেই বলে দিয়েছিলেন, তিনি কোনও প্রশ্ন নেবেন না। ঘোষণা করতেই এসেছেন। মুখে হাসি থাকলেও আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। বলছেন, ‘আমার কাছে আবেগের মুহূর্ত। কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই। এর জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন প্লিজ। আমাকে নিয়ে আপনারা অনেক ভালো আর্টিকল লিখেছেন, কিছু খারাপও রয়েছে। এই সম্পর্কটা আজীবন থেকে যাবে। আশাকরি, নতুন যারা আসবে, তারাও আপনাদের থেকে এই ভালোবাসা পাবে।’ পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া টিমের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অশ্বিন।