Yash Dayal: ‘এখন কেমন লাগছে মা?’, ফাইনাল ওভার শেষেই ভিডিয়ো কল যশ দয়ালের

May 19, 2024 | 8:29 PM

IPL 2024, RCB vs CSK: স্নায়ুর চাপ সামলে ম্যাচ জেতান যশ, অঙ্ক মিলিয়ে প্লে-অফও নিশ্চিত করে আরসিবি। যশের এই কামব্যাক সকলের কাছেই প্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়। গত বছর ছেলেকে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে মায়ের মনও কেঁদেছিল। এমন একটা দুরন্ত ওভারের পর মায়ের কথাই যে প্রথম মনে পড়বে, এ আর অস্বাভাবিক কী! ম্যাচ শেষ হতেই মা-কে ভিডিয়ো কল করেন যশ।

Yash Dayal: এখন কেমন লাগছে মা?, ফাইনাল ওভার শেষেই ভিডিয়ো কল যশ দয়ালের
Image Credit source: BCCI

Follow Us

মায়ের কাছে কিছুই লুকনো যায় না। যেমনটা পারেননি যশ দয়ালও। প্রায় ৪০৫ দিন আগের কথা। যশ দয়াল তখন খেলেন গুজরাট টাইটান্সে। আমেদাবাদে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ। টাইটান্সের জয় যেন সময়ের অপেক্ষা। এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচের রং বদলে দেন কেকেআরের তরুণ ব্যাটার রিঙ্কু সিং। শেষ ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন বাঁ হাতি পেসার যশ দয়াল। টানা পাঁচটি ছয় মেরে অবিশ্বাস্য ম্যাচ জেতান রিঙ্কু। হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন যশ। সেটা বাড়ে এবার গুজরাট তাঁকে রিটেইন না করায়।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অকশনে যশ দয়ালকে নেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছিল। আরসিবি মরসুমের প্রথম আটটির মধ্যে মাত্র এক ম্যাচ জিতেছিল। সাতটা হারের কারণ যে বোলিং আক্রমণ। সেখান থেকে টিম হিসেবে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। টানা ছয় ম্যাচ জিতে প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে আরসিবি। এর কৃতিত্ব প্রাপ্য যশ দয়ালেরও। চেন্নাইকে প্লে-অফের জন্য কোয়ালিফাই করতে শেষ ওভারে ১৭ রান করতে হত। ম্যাচ হারলেও নেট রান রেটে প্লে-অফে যেত চেন্নাই। বোলিংয়ে আসেন যশ। উল্টোদিকে বিশ্বের সেরা ফিনিশার মহেন্দ্র সিং ধোনি। সঙ্গী জাডেজা।

স্নায়ুর চাপ সামলে ম্যাচ জেতান যশ, অঙ্ক মিলিয়ে প্লে-অফও নিশ্চিত করে আরসিবি। যশের এই কামব্যাক সকলের কাছেই প্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়। গত বছর ছেলেকে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে মায়ের মনও কেঁদেছিল। এমন একটা দুরন্ত ওভারের পর মায়ের কথাই যে প্রথম মনে পড়বে, এ আর অস্বাভাবিক কী! ম্যাচ শেষ হতেই মা-কে ভিডিয়ো কল করেন যশ। তাঁর প্রশ্ন, ‘এখন কেমন লাগছে মা?’। এই একটা প্রশ্নে যে কত স্বস্তি, গর্ব, লড়াইয়ের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, বোঝা যাবে না। অনুভব করতে হবে।

একদিকে যখন বেঙ্গালুরু শহর মেতে উৎসবে, একই পরিস্থিতি যশ দয়ালের পরিবারেও। তাঁর বাবা চন্দ্রপল সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সাক্ষাৎকারে জানান, যশ মা-কে বলেছেন, তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আটকানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। মুখেই শুধু নয়, কাজেও করে দেখিয়েছিলেন। ধোনি প্রথম বলেই ছয় মারেন।

এখানেই স্নায়ুর চাপের পরীক্ষা। পরের বলেই স্লোয়ারে মাহিকে অস্বস্তিতে ফেলে আউট করেন। কাজ এখনও শেষ হয়নি আরসিবির। ট্রফির আক্ষেপ মেটাতে হলে তিনটে নকআউট ম্যাচ জিততে হবে। যশের দায়িত্ব যেন আরও বেড়ে গিয়েছে।

Next Article