ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে সফল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। এই দু-দলই পাঁচ বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পাঁচটি ট্রফি জিতেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত শর্মাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দায়িত্ব দিয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়াকে। এ বার অবশ্য লিগ পর্বেই ছিটকে গিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অন্য দিকে, চেন্নাই সুপার কিংস শুরু থেকে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও ভার্চুয়াল নকআউটে আরসিবির কাছে হেরে বিদায় নেয়। এলিমিনেটর ম্যাচে হার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। এর মধ্যেও সংখ্যার খেলা রয়েছে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। তারা ১০ বার ফাইনাল খেলে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নও চেন্নাই সুপার কিংস। এ বার চেন্নাইয়ে ফাইনাল হলেও নেই সিএসকে। ফাইনাল খেলার বিষয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাদের পারফরম্যান্স আরও প্রশংসনীয়। ছয় বার ফাইনাল খেলে পাঁচটি ট্রফি! রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু খেলেছে তিনটি ফাইনাল। ট্রফি জিততে পারেনি একবারও। অন্যদিকে, কলকাতা নাইট রাইডার্স তিনটি ফাইনাল খেলে দু-বার চ্যাম্পিয়ন।
আইপিএলের ১৭তম সংস্করণের আজ সমাপ্তি। চিপকে আইপিএল ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের ১৭ বারের ইতিহাসে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয় বার ফাইনালে নেই তিন মহারথী মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি! মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস কিংবা রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যে কোনও দলেরই ফাইনালে না থাকা এই নিয়ে তৃতীয় বার।
এর আগে ২০১৪ সালের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাব (পঞ্জাব কিংস)। সে বার নিজেদের দ্বিতীয় ট্রফি জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০২২ সালের আইপিএল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স ও রাজস্থান রয়্যালস। সে বারই টুর্নামেন্টে আত্মপ্রকাশ হয় টাইটান্সের। অভিষেক আইপিএলেই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। এ বার কেকেআর বনাম সানরাইজার্স। চতুর্থ ফাইনালে তৃতীয় ট্রফির খোঁজে কেকেআর। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ট্রফির খোঁজে সানরাইজার্স।