কোহলি গোওজ ডাউন দ্য গ্রাউন্ড, কোহলি গোওজ আউ অব দ্য গ্রাউন্ড! হর্ষ ভোগলের কন্ঠে এই বাক্য মনে পড়ে? ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলা। প্রায় এক লক্ষ দর্শক। ১৬০ রান তাড়ায় দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। বিরাট কোহলি ক্রমশ ইনিংস গোছানোর চেষ্টা করেন। সঙ্গ দেন হার্দিক পান্ডিয়া। দুর্দান্ত একটা পার্টনারশিপের পর আউট হার্দিকও। ভারতের জয় তখন শুধুই কোহলির কাঁধে। এমন সময় পাক পেসার হ্যারিস রউফকে স্ট্রেট বাউন্ডারিতে একটি ছয় মারেন। এ বারের বিশ্বকাপের সুপার আফগানিস্তানের নবীন উল হকের বিরুদ্ধেও ঠিক যেন একই শট!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম সফল ব্যাটার। বর্তমান প্রজন্মের সেরা ব্যাটার। এ বারের বিশ্বকাপে কিছুতেই ছন্দে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমেরিকা পর্বে তিন ম্যাচ খেলেছে ভারত। শেষ ম্যাচটি ভেস্তে গিয়েছিল। তিন ম্যাচে মাত্র ৫ রান করেছিলেন বিরাট কোহলি। নিউ ইয়র্কের পিচ ব্যাটারদের কাছে খুবই কঠিন পরিস্থিতি ছিল। বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটারদের কাছে। ক্যারিবিয়ানে পৌঁছতেই বিরাটের উপর প্রত্যাশা বাড়ে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও ইনিংস ওপেন করলেন বিরাট কোহলি। শুরুটা মন্থর করেন। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পান বিরাট কোহলি। লেগ বাইতে সিঙ্গল নেন। দ্বিতীয় ওভারেই অফস্পিনার মহম্মদ নবিকে আক্রমণে আনে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। খাতা খুলতে সমস্যায় পড়ছিলেন বিরাট। এ দিন আর তাড়াহুড়োর রাস্তায় হাটেননি। চতুর্থ বল ফেস করে প্রথম রান তাঁর ব্যাটে। পঞ্চম ওভারে সেই শট। বোলিংয়ে নবীন। ৪.৪ ওভারে বুকের উচ্চতায় বল। স্ট্রেট বাউন্ডারিতে সেই শট। হ্য়ারিস রউফের বিরুদ্ধে মারা সেই ছয়কে সেঞ্চুরির সেরা শট তকমা দিয়েছিল আইসিসি।
পরবর্তীতে বিরাট কোহলি স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তিনিও জানেন না ওই শট কী ভাবে খেলেছিলেন। আগে থেকেই কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। টার্গেট ছিল, পরপর ছয় মারা ছাড়া জেতা সম্ভব নয়। সেটাই করেছিলেন। নবীনের বিরুদ্ধে আজকের ম্যাচেও সেই অসাধারণ শট খেলেন। যদিও রশিদের বোলিংয়ে আউট হলে অতি সাধারণ ভাবেই। ২৪ বলে ২৪ রানে ফেরেন বিরাট কোহলি। তাঁর অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল, কতটা হতাশ।
আজকের সেই ভিডিয়ো