বিরাট বিতর্কের রেশ কাটছে না। এই রেশ যে দীর্ঘমেয়াদী, বলাই যায়। ইডেন গার্ডেন্সে মাত্র ১ রানে হার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। বিরাট ক্রিজে থাকলে! পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে অন্যরকমই হত। ইডেনের গ্যালারিও যেন চাইছিল বিরাটের ব্যাটে রান আসুক কিন্তু ম্যাচ জিতুক নাইট রাইডার্স। দ্বিতীয় ইচ্ছেটা পূরণ হলেও প্রথমটা হয়নি। রীতিমতো বিধ্বংসী শুরুই করেছিলেন। ফেরেন ৭ বলে ১৮ রানে।
বিরাটের আউট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। নো বল ছিল কিনা এই নিয়েই বিতর্ক। হর্ষিত রানার স্লো ফুলটস কোমরের উচ্চতার বেশি ছিল কিনা, এই নিয়েই বিতর্কের শুরু। আম্পায়ারের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরাট কোহলি। ফাফ ডুপ্লেসিও যোগ দেন। বিরাট মাঠ ছাড়ার সময়ও আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এখানেই শেষ নয়। ম্যাচ শেষে আম্পায়াররা মাঠ ছাড়ার সময়ও তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় বিরাটকে।
নিজের আউট কিছুতেই ভুলতে পারছেন না কোহলি। সে কারণেই ম্যাচ শেষে দীর্ঘক্ষণ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা। ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে আম্পায়ারের কাছে আউটের কারণ বারবার জানতে চাইলেন বিরাট। সুপার সানডেতে বিরাট মঞ্চে কোহলির বিতর্কিত আউট। দর্শকদের মন খারাপ। তবে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ম্যাচ শেষে আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি বলেন, ‘নিয়ম নিয়ে কিছু বলার নেই। ওই মুহূর্তে বিরাট ও আমি দু-জনেই ভেবেছিলাম, বল কোমরের উপরে ছিল। আমার মনে হয় আম্পায়ার পপিং ক্রিজ থেকে হিসেব করেছে। ওরকম পরিস্থিতিতে যে কোনও একটা দলই খুশি হয়। অন্য় দল ভাবে ভুল সিদ্ধান্ত।’