কলকাতা: সম্পর্কের শেষ সুতোটুকু ছিঁড়ে গিয়েছে অনেক আগেই। বোর্ড (BCCI) প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। ফর্মে না-থাকা বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। ওই ঘটনা মারাত্মক বিতর্ক তৈরি করেছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। সৌরভ তখন মিডিয়ায় বলেছিলেন, বিরাটকে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে বারণ করা হয়েছে। ওই মন্তব্য থেকেই ভুল বোঝাবুঝির শুরু। বিরাট খোদ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে বোর্ডের তরফে যোগাযোগ করা হয়নি। এরপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদে আর নেই সৌরভ। বিরাটও ভারতের নেতৃত্ব থেকে পুরোপুরি সরে গিয়েছেন। এমনকি, আরসিবির নেতৃত্বের দায়িত্বেও আর নেই। তাতে কিন্তু বিতর্ক থামছে না। বরং সৌরভ বনাম বিরাট দিনকে দিন বড় আকার নিচ্ছে। বিস্তারিত TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
কেন হঠাৎ নতুন করে জন্ম নিল সৌরভ-বিরাট বিতর্ক? ঘটনার প্রেক্ষাপটে ব্যাঙ্গালোর ভার্সাস দিল্লি ম্য়াচ। ওই ম্যাচের সময় বিরাট এসেছিলেন দিল্লির ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করতে। কোচ রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে কথাও বলেন বিরাট। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন সৌরভ। বিরাটকে দেখেও তিনি কোন কথা বলেননি। শুধু তাই নয়, সৌজন্য বিনিময়ের আগ্রহও দেখাননি। সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুরনোর বিতর্কের জের থেকে সৌরভ বেরোতে পারেননি, এমনই রায় দিয়েছিল আমজনতা। আর তারপরই সৌরভকে নিজের ইন্সটাগ্রামের ফলো লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছেন বিরাট। কোনও কোনও মহল থেকে এমনও বলা হচ্ছে, দিল্লির বিরুদ্ধে অতি আগ্রাসী মনোভাব দেখা গিয়েছে বিরাটের। সেটা বিপক্ষের ডাগআউটে সৌরভের উপস্থিতির কারণে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
বিরাট ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ প্রসঙ্গে বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন কিনা, তার কোনও যুক্তিযুক্ত প্রমাণ নেই। কিন্তু হাবেভাবে নিজের মনোভাব অনেক সময়ই প্রকাশ করেছেন বিরাট। দিন কয়েক আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি তিনটে আইসিসি ট্রফি জিতেছেন। ভারতের অনেক নামী ক্রিকেটারের সে সাফল্য নেই। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, আসলে বিরাট এটা সৌরভকে খোঁচা দিতে চেয়েছেন। আর তা থেকেই আবার নতুন দিকে মোড় নিয়েছে বিতর্ক। তার মধ্যেই আবার ইন্সটাগ্রাম থেকে সৌরভকে ছেঁটে ফেলে বিতর্ক আরও বাড়ালেন ভারতের সেরা ক্রিকেটার।