বিরাট কোহলি, রিঙ্কু সিংয়ের মধ্যে তুলনা করা কি ঠিক? একেবারেই নয়। কিন্তু এই তুলনা ক্রিকেট সংক্রান্ত নয়। বিরাট কোহলি কয়েক প্রজন্মের কাছে উদাহরণ। রিঙ্কু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘সদ্যোজাত’। ক্রমশ নিজেকে মেলে ধরছেন। তা হলে কী করে বিরাট কোহলি বনাম রিঙ্কু সিং বলা যায়? বিশ্ব জুড়ে বিরাট কোহলির জনপ্রিয়তা কারও অজানা নয়। দেশের মাটিতে আরও বেশি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সময়ও এর অন্যথা হয় না। ফ্র্যাঞ্চাইজি আলাদা হলেও মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা সব কিছুর উর্ধ্বে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম সংস্করণ চলছে। মহেন্দ্র সিং ধোনি দুটি ম্যাচ খেলেছেন হোম গ্রাউন্ড চিপকে। অ্যাওয়ে ম্যাচে গেলেও ধোনিকে নিয়ে উন্মাদনা এক বিন্দুও কমবে না। আইপিএলে গত সংস্করণ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। তরুণ ক্রিকেটাররা মাহিকে সামনে পেলে যতটুকু সম্ভব নিংড়ে নিতে চান। গুরু হিসেবে তাঁর চেয়ে সেরা কে হতে পারেন! রোহিত, বিরাটরাও তেমনই। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাঁরা কোনও প্রতিপক্ষ নন, শিক্ষক।
আইপিএল এবং জাতীয় দলে একের পর এক অনবদ্য পারফরম্যান্স। দুর্দান্ত ফিল্ডিং। ব্যাটিং। সারল্য। মিশুকে চরিত্র। সব দিক থেকে সমর্থকদের প্রিয় হয়ে উঠেছেন রিঙ্কু সিং। ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টিতে শেষ সিরিজ খেলেছে জানুয়ারিতে। তিন ম্যাচের সিরিজ ছিল। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি হয়েছিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেই। বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখার অপেক্ষায় ছিল গ্যালারি। সেই ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বিরাট।
তিনে নেমে গোল্ডেন ডাক বিরাটের। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার সঙ্গে বিধ্বংসী জুটি গড়েছিলেন রিঙ্কু। মাত্র ৩৯ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করেছিলেন। তবে সেরা দৃশ্য ছিল ফিল্ডিংয়ে। লং বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করছিলেন বিরাট ও রিঙ্কু সিং। ৩৫ নম্বর জার্সির রিঙ্কু এবং ১৮ নম্বর জার্সির একের পর এক অনবদ্য গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এ বার প্রতিপক্ষ বিরাট ও রিঙ্কু। ব্যাটিং হোক বা ফিল্ডিং, রিঙ্কু ও বিরাটের জন্য গ্যালারির সমর্থন ভাগ হয়ে যাবে না তো!