কলকাতা: মঞ্চ তৈরি। শুধু নায়কের প্রবেশের অপেক্ষা। নিলাম হয়ে গিয়েছে। আইপিএল শুরুর আগে শুধু একটাই প্রশ্ন নিয়ে চলছে চর্চা, বিরাট কোহলিকে কি আরবিসির ক্যাপ্টেন হিসেবে দেখা যাবে? দেশের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আগেই। ২ বছর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নেতৃত্ব থেকেও অব্যহতি নিয়েছিলেন। তাঁর বদলে ফাফ দু প্লেসিকে নেতা করেছিল আরসিবি। কিন্তু আইপিএলের নতুন মরসুমে সেই বিরাটেই আবার ফিরতে চাইছে বেঙ্গালুরুর টিম। আইপিএলে দারুণ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত কোনও মরসুমেই ট্রফি আসেনি। এ বার বিরাট কি সেই আশা পূরণ করতে পারবেন? তার থেকেও বড় কথা হল, যতই জল্পনা থাকুক, নেতৃত্বের দায়িত্ব নেবেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তর মিলল। কে দিলেন?
বিরাটের মতোই আরসিবির ঘরের ছেলেই হয়ে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। দলের সঙ্গে তাঁকে নানা ভাবে জুড়ে ফেলার উদ্যোগও নানা সময় দেখা গিয়েছে। এবিডি আবার বিরাটের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। সেই তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, বিরাটের ক্যাপ্টেন্সির ব্যাপারটা এখনও কনফার্ম হয়েছে। তবে ওই ক্যাপ্টেন্সি করবে আরসিবির। টিমের স্কোয়াড দেখে অন্তত তাই মনে হচ্ছে।’
দলের দিকে তাকালে বিরাট ছাড়া আর কোনও বিকল্প আছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরাও। যে টিম নিলাম থেকে তৈরি হয়েছে আরসিবির, তাতে ক্রুণাল পান্ডিয়া, জিতেশ শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার ছাড়া আর কারও আইপিএলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু আরসিবির মতো হেভিওয়েট টিমকে টানার মতো কারও কথা ভাবতে হলে বিরাটই সেরা বিকল্প। ২০১৩ সালে বিরাট ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন। ২০২১ সালে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। চারবার প্লে-অফে তুলেছিলেন টিমকে। কিন্তু ২০১৬ সালে শুধু ফাইনালে পৌঁছতে পেরেছিল টিম। খেতাব অবশ্য আসেনি। ৯ বছরে ১৪৩ ম্যাচে ক্যাপ্টেন্সি করেছেন। জিতেছেন ৬৬টা ম্যাচ। হেরেছেন ৭০টা। এই বিরাট যদি নতুন করে শুরু করেন তাঁর ক্যাপ্টেন্সি ইনিংস একটাই স্বপ্ন থাকবে, আরসিবিকে খেতাব দেওয়া। যে স্বপ্ন সেই ২০০৮ সাল থেকে দেখছেন তিনি।