কলকাতা: ভারতের চাপে কি পাকিস্তান থেকে সরছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি? আজ বিকেলে আলোচনায় বসছে আইসিসি। সেখানেই ঠিক হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেনু। যা পরিস্থিতি, ভারত ওই দেখে খেলতে যাবে না। আর পাকিস্তানও তাদের জায়গায় অনড়। হাইব্রিড মডেল কোনও অবস্থায় মেনে নিতে চাইছে না তারা। পিসিবিকে অনড় থাকার ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছে পাক সরকার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিতর্কের মধ্যেই আবার চরম পথ নিতে চলেছে তারা। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি ইতিমধ্যেই বলেছেন, পাকিস্তান যদি ভারতে গিয়ে খেলতে পারে, ভারত কেন পাকিস্তানে খেলতে আসবে না? ঠিক এই প্রশ্ন থেকেই অন্য দিকে ঘুরে যেতে চলেছে খেলা।
ভারত যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে না যায় বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে পাকিস্তানের। হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হলেও সে ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। আর তা হলে ভারতকে পাল্টা আঘাত হানার জন্য তৈরি পিসিবি। ২০২৬ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। আগামী বছর মেয়েদের বিশ্বকাপ আছে। ভারতে আয়োজিত এই দুটো টুর্মামেন্ট বয়কট করবে পাকিস্তান। অর্থাৎ, ভারতে কোনও ভাবেই টিম পাঠাবে না তারা। আইসিসির টুর্নামেন্ট তারা খেলবে না, তা নয়। তার বদলে ভারতকে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট করতে বাধ্য করবে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার মাটিতে হবে ভারত সহ পাকিস্তানের যাবতীয় ম্যাচ। তা না হলে খেলবেই না পাকিস্তান।
টেলিগ্রাফকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বলেছেন, ‘যদি ব্যাপারটা এই গিয়ে দাঁড়ায়, তা হলে ২০২৬ সালে ভারতে আয়োজিত আইসিসি টুর্নামেন্টের যাবতীয় ম্যাচ কিন্তু শ্রীলঙ্কার মাটিতে খেলবে পাকিস্তান। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচও। ওরা যদি আমাদের দেশে না আসে, আমরাও ওদের দেশে পা রাখব না। আগামী বছর মেয়েদের বিশ্বকাপ আছে। ওটা খেলতেও টিম পাঠাব না আমরা। যদি হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট হওয়া সম্ভব না হয়, তা হলে বয়কট করবে পাকিস্তান।’
বোঝাই যাচ্ছে, ভারতকে চরম বার্তা দিয়ে রোহিত-বিরাটদের পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে বাধ্য করতে চাইছে পিসিবি। পাক বোর্ডের সামনে কি নতিস্বীকার করবে ভারত? সম্ভাবনাই নেই। আইসিসি কি সিদ্ধান্ত নেবে, বিকেলের সভার দিকে তাকিয়ে ক্রিকেট মহল।