মিচেল স্টার্ক। প্রতি ম্যাচেই প্রত্যাশা করা হয়, এই পেসারই হয়তো খেলা ঘুরিয়ে দেবেন। এই প্রত্যাশা অমূলক নয়। আইপিএলে ইতিহাস গড়েছেন মিচেল স্টার্ক। দুবাইয়ের মিনি অকশনে তাঁকে ২৪.৭৫ কোটিতে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাঁকে এমন চড়া দামে নেওয়ায় যেমন ইতিহাস হয়েছিল, তেমনই অস্বস্তিও। কেন এত টাকায় নেওয়া হয়েছিল স্টার্ককে, এই প্রশ্নের সামনে বারবার পড়তে হয়েছে কলকাতা টিম ম্যানেজমেন্টকে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স মেন্টর গৌতম গম্ভীর এর আগেও এই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। গৌতম গম্ভীর পরিষ্কার করে দিয়েছেন, স্টার্কের মতো একজন পেসার থাকা মানে তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে শেখারও সুযোগ। কেকেআর জার্সিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। বিশ্বজয়ী পেসার প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করলেও টুর্নামেন্টে তাঁর পারফরম্যান্স হতাশার।
কেকেআর এ মরসুমে চার ম্যাচ খেলেছে। সব ম্যাচেই খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। প্রথম দু-ম্যাচে কোটার ৮ ওভারে দিয়েছিলেন ১০০ রান। কোনও উইকেট ছিল না। তৃতীয় ম্যাচে ৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট। গত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩ ওভারে ২৯ রান দেন। এখনও অবধি ১৪ ওভারে ১৫৪ রান দিয়ে মাত্র ২ উইকেট।
ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচের আগে গৌতম গম্ভীর কতটা অস্বস্তিতে? স্টার্ককে নিয়ে ওঠা কড়া প্রশ্নে গৌতম গম্ভীর বলেন, ‘আমরা চার ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতেছি। কারও দিন খারাপ জেতেই পারে। প্রত্যেকেই জানে মিচেল স্টার্ক কে? টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা কিছুই হতে পারে। টিম গেমে জয়টাই আসল। একজন ভালো খেলল, টিম জিতল না, তাতে কী যায় আসে। কিন্তু টিম জিতলে, কেউ পারফর্ম করতে না পারলে সেটা নিয়েও ভাবি না। হতেই পারে পরের ম্যাচে ওই ভালো পারফর্ম করল। আসল বিষয়, টিমের জেতাটা।’