ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪২-৭ (২০ ওভারে)
বাংলাদেশ ১৩৯-৫ (২০ ওভারে)
কলকাতা: দুটো প্রশ্নের উত্তর অবিলম্বে পাওয়া উচিত। এক, ক্রিস গেইলকে ভুলে কি এ বার সামনে তাকানো উচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies)? কোনও যুক্তি তর্ক নয়, এটাই সমাধানসূত্র ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের। নতুন প্রজন্মের উপর ভরসা না রাখলে ওয়ান ডে ক্রিকেটের মতো টি-টোয়েন্টিতেও পরবর্তী বিশ্বকাপ খুঁজে পাওয়া যাবে না! দুই, বাংলাদেশ (Bangladesh) টিমকে বুঝতে হবে ক্রিকেটে মহাশক্তি হিসেবে উত্থান দেখতে হলে শুধু সাকিব আল হাসানে নির্ভর করলে চলবে না। পরবর্তী প্রজন্মকেও কিছু ম্যাচ জেতাতে হবে। আর ফিল্ডিং নামক বস্তুটাকে যে ইদানীং মহার্ঘ্য হিসেবে ধরা হয় কেন, সেটাও বুঝতে হবে। সাকিবের এক ওভারে পর পর ক্যাচ ছাড়লে ম্যাচ জেতা কঠিন নয়, অসম্ভব হয়ে যায়।
ধার-ভার-গভীরতার দিক থেকে দেখলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ অনেকটা সমানে সমানে লড়াই ছিল। শারজার মন্থর, লো বাউন্সের উইকেটে ১৪২-৭ তুলে ছিল কায়রন পোলার্ডের টিম। রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ হারল ৩ রানে। লিটন দাস ৪৪ ও রিয়াদ মাহমুদুল্লাহ নট আউট ৩১ করলেও ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
বহু দিন পর গেইলকে ওপেনার হিসেবে দেখা গেল। গত কয়েক বছর ধরে তিন নম্বরে নামা গেইলের সঙ্গে এই গেইলের কোনও ফারাক নেই। ফুটওয়ার্ক প্রায় নেই। রিফ্লেক্সও প্রায় নেই বললেই চলে। ১০ বলে ৪ করা ফিরে গেলেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া রস্টন চেড ৪৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংসটা না খেললে কিন্তু ওই পর্বে চাপে পড়ে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাকি কাজটুকু সারেন নিকোলাস পুরান। ২২ বলে ৪০ করে যান। বাংলাদেশের হয়ে ভালো বোলিং মেহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও সইফুল ইসলামের। তিনজনেই ২টো করে উইকেট নিয়েছেন।
রান তাড়া করতে নেমে কেন যে মহম্মদ নইম (১৭) ছটফট করলেন, কেনই বা সাকিব (৯) ওপেন করতে নামলেন, পরিষ্কার নয়। তিন নম্বরে নামা লিটন ৪৪ না করলে চাপে পড়ে যেত বাংলাদেশ। শেষ দিকে ক্যাপ্টেন মাহমুদুল্লাহ (নট আউট ৩১) ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। শেষ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। ১০ রানের বেশি তুললে পারেনি বাংলাদেশ।
ম্যাচের পর মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘লিটনের উইকেটটা খুব খারাপ সময় গিয়েছে। তখন আমরা সেট হয়ে গিয়েছিলাম। ও থাকলে কিন্তু অন্যরকম হতে পারত। তার আগে বোলাররা অবশ্য ১০-১৫ রান বেশি দিয়েছিল। তবে কাউকেই দোষ দিতে চাই না। টি-টোয়েন্টি এমনই। কেউ জিতবে, কেউ হারবে। তবে আমরা যে ভাবে পর পর ক্যাচ ফেলেছি, সেটা কিন্তু নেওয়া যায় না।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪২-৭ (পুরান ৪০, রস্টন ৩৯, হোল্ডার নট আউট ১৫, সইফুল ২-২০, মেহেদি ২-২৭)। বাংলাদেশ ১৩৯-৫ (লিটন ৪৪, মাহমুদুল্লাহ নট আউট ৩১, নইম ১৭, হোল্ডার ১-২২, আকিল ১-২৪)।