কলকাতা: দেশের ভিআইপিরা আলাদা করে নিরাপত্তা পান। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি থেকে বিধায়ক, সাংসদ, অভিনেতা, ক্রিকেটার, শিল্পপতি, বিচারপতিদের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়। বিষয়টি নির্ভর করে কার কতটা নিরাপত্তা প্রয়োজন। ব্যক্তিবিশেষে নিরাপত্তার ক্যাটাগরি বেছে দেওয়া হয়। যেমন X, Y, Z কিংবা Z+। এই ভিআইপিদের মধ্যে কারও নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজন মনে হলে ক্যাটাগরি বদল করা হয়। যেমনটা ঘটেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) ক্ষেত্রে। রাজ্য সরকারের তরফে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এত দিন ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন সৌরভ। এ বার থেকে তা বেড়ে গিয়ে হচ্ছে জেড ক্যাটাগরি (Z Category Security)। আজ, বুধবার ধর্মশালায় পঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হবে দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals)। দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ক্রিকেট ডিরেক্টর টুর্নামেন্ট শেষে কলকাতায় ফিরবেন। এরপর থেকেই জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে সৌরভকে। কিন্তু হঠাৎ সৌরভের নিরাপত্তা বাড়ানো হল কেন? তিনি কী নিজের শহরে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন? বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
সৌরভের নিরাপত্তার ক্যাটাগরি বদলে যাওয়ার পর কী কী পরিবর্তন হল? জানা গিয়েছে, জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নিরাপত্তার জন্য এ বার থেকে পাবেন ৮-১০ জন পুলিশ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এতদিন ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাচ্ছিলেন। সেইসময় তাঁর সঙ্গে থাকতেন তিনজন স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশকর্মী। এর পাশাপাশি সৌরভের বেহালার বাড়িতেও সমসংখ্যক পুলিশ নিরাপত্তা দেবে। বিশেষ গাড়ি থাকবে সৌরভের জন্য। তাঁর বাড়িতেও থাকবে নিরাপত্তার কড়াকড়ি।
হঠাৎ করে সৌরভের নিরাপত্তার ক্যাটাগরি বদলে যাওয়ায় চিন্তায় তাঁর অনুরাগীরা। তা হলে কি কোনও কারণে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন সৌরভ? প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এর পিছনে গুরুতর কারণ নেই বলেই দাবি সৌরভের ঘনিষ্ঠ মহলের। টিভি নাইন বাংলাকে সৌরভের ছেলেবেলার বন্ধু সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রস্তাব ছিল। এতদিন সৌরভ তাতে সাড়া দেননি। এ বার নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে ঠিকই, তবে এর পিছনে বিশেষ কোনও কারণ নেই।
সঞ্জয়ের কথা ধরলেও থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। এতদিন নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজন বোধ করেননি যিনি, তিনি হঠাৎ সেই সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? সৌরভ মানেই খবর। সে ক্রিকেট হোক আর রাজনীতি, সিএবি হোক আর নিরাপত্তা— আরও একবার প্রমাণ হল।