Wriddhiman Saha: বোর্ডের নতুন ফতোয়ায় আরও চাপে পড়তে চলেছেন ঋদ্ধি
২ মার্চ বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক। ওই সভাতেই নতুন ভাবে ক্রিকেটারদের জন্য গ্রেড পে চালু করতে চলেছে বোর্ড। বার্ষিক চুক্তিতে আর একটা গ্রেড চালু করার পথে বিসিসিআই। 'সি' ক্যাটেগরি চালু করতে পারে বোর্ড। যেখানে 'এ+' ক্যাটেগরির তালিকাভুক্ত ক্রিকেটাররা পাবেন সর্বোচ্চ ৭ কোটি টাকা (বার্ষিক)। এই মুহূর্তে 'বি' ক্যাটেগরিতে আছেন ঋদ্ধিমান।
কলকাতা: দল থেকে বাদ পড়ার পর মুখ খোলার ‘শাস্তি’ পেতে চলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। বোর্ডের (BCCI) বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়তে পারেন বাংলার উইকেটকিপার। শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাদ পড়ার পরই কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন ঋদ্ধিমান। এমনকি বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আশ্বাসের কথাও প্রকাশ্যে আনেন ঋদ্ধি। প্রকাশ্যে সব কিছু বলার জন্যই তাঁকে ‘বলি’ দিতে চলেছে বোর্ড। বিসিসিআই সূত্রে তেমনই খবর। পারফরম্যান্স থাকা সত্ত্বেও কেন বাদ ঋদ্ধি? তার সঠিক উত্তর দিতেই পারেননি নির্বাচক কমিটির প্রধান চেতন শর্মা। বোর্ডও কোনও কুল কিনারা না পেয়ে ঋদ্ধিকে বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ দিয়ে ‘শিক্ষা’ দিতে চাইছে। বোর্ডের এই মনোভাবকে আদৌ ক্রিকেটমহল মেনে নেবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। যদি বাংলার উইকেটকিপারকে সত্যিই বার্ষিক চুক্তি থেকে ছেঁটে ফেলা হয়, তাহলে বোর্ডের এই তুঘলকি শাসন কিন্তু কাঠড়ায় উঠতে বাধ্য।
২ মার্চ বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক। ওই সভাতেই ক্রিকেটারদের জন্য নতুন গ্রেড পে চালু করতে চলেছে বোর্ড। বার্ষিক চুক্তিতে আর একটা গ্রেড চালু করার পথে বিসিসিআই। ‘সি’ ক্যাটেগরি চালু করতে পারে বোর্ড। যেখানে ‘এ+’ ক্যাটেগরির তালিকাভুক্ত ক্রিকেটাররা পাবেন সর্বোচ্চ ৭ কোটি টাকা (বার্ষিক)। এই মুহূর্তে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে আছেন ঋদ্ধিমান। যেখানে বছরে ৩ কোটি টাকা পান তিনি। কিন্তু বোর্ডের গ্রেড পে থেকে ঋদ্ধিকে ছাঁটাই করে দেওয়া মানে জাতীয় দলের দরজা চিরতরে বন্ধ হতে চলেছে তাঁর জন্য। বিসিসিআই যদি সত্যিই এই পথটা বেছে নেয়, বাংলার উইকেটকিপারের সঙ্গে যে অবিচার করা হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
গ্রেড পে-তে অজিঙ্ক রাহানে, চেতেশ্বর পূজারা, ইশান্ত শর্মাদের অবনমন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সূত্রের খবর, ‘এ+’ ক্যাটেগরিতে উঠে আসতে পারেন ঋষভ পন্থ, কেএল রাহুল। মোদ্দা কথা, স্যালারি প্যাটার্ন ঢেলে সাজাতে চাইছে বিসিসিআই। আর এ ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতের দিকে নজর রাখতে চাইছে বোর্ড। যে সমস্ত ক্রিকেটার সিনিয়র অথচ পারফর্ম করতে পারছেন না, তাঁদের পে ক্যাটেগরিতে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। ঋদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু হলেও আলাদা। পারফরম্যান্স সংক্রান্ত জটিলতা তাঁকে ঘিরে নেই। তবে বয়স বিরুদ্ধে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে ক্রিকেটারদের কথা বলার ক্ষেত্রে আরও একটি ফতোয়া জারি করতে চলেছে বোর্ড। বিসিসিআইয়ের গ্রেড পে তালিকাভুক্ত ক্রিকেটাররা বোর্ডের মিডিয়া ম্যানেজারের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারবেন না। শীঘ্রই এই নতুন নির্দেশিকা চালু করতে চলেছে বোর্ড। এমনই খবর সূত্রের। কোনও সাংবাদিক যদি বোর্ডের গ্রেড পে তালিকাভুক্ত কোনও ক্রিকেটারের সাক্ষাৎকার নিতে চান, বিসিসিআইয়ের মিডিয়া ম্যানেজারের গ্রিন সিগনালের প্রয়োজন। এমনকি কোনও অনুষ্ঠানে গেলেও কথা বলার প্রসঙ্গে মিডিয়া ম্যানেজারের অনুমতি নিতে হবে সেই ক্রিকেটারকে। এতদিন কোনও সিরিজ বা টুর্নামেন্ট চলাকালীন মিডিয়া ম্যানেজারের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারতেন না ক্রিকেটাররা। কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহার বিস্ফোরণের পরই এই নতুন ফতোয়া জারি করতে চলেছে বিসিসিআই। শুধু তাই নয়, ক্রিকেটারদের তরফে যদি কোনও অভাব অভিযোগ থাকে তা শোনার জন্য একটি নতুন এজেন্সি নিয়োগ করতে চলেছে বোর্ড। তাঁদের কাছে ক্রিকেটাররা নিজেদের যাবতীয় যা কিছু অসুবিধে, সমস্যা বলতে পারবে। সেই মর্মে তার নিষ্পত্তি করবে বোর্ড।
আরও পড়ুন: BCCI: ২ মার্চ বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে একগুচ্ছ অ্যাজেন্ডা