কলকাতা: নয়ের দশকের এক হিন্দি সিনেমার সেই বিখ্যাত ডায়ালগটাই যেন ফিরে আসছে— তারিখ পে তারিখ…!
রোজ বিকেল হলেই সাজসাজ রব ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) তাঁবুতে। কী না, মিটিংয়ে বসবেন কর্তারা। নিয়ম করে বসছেন ঠিকই, কিন্তু ফলাফল কী? শূন্য! চুক্তি বিতর্কে মাস তিনেক আগে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল, মাস তিনেক পরও সেখানেই! আজ, কাল, পরশু করতে করতে আইএসএল খেলার সময় হয়ে এল প্রায়। কিন্তু শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হল না।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কার্যকরী সমিতির সভার মাঝে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীদের ফোন পেয়ে বৈঠক থেমে গিয়েছিল। তখন মনে হয়েছিল, এ বার বোধহয় দড়ি টানাটানি খেলা শেষ হবে। এ দিন বিকেলের পর আবার পাল্টে গেল ছবি। চুক্তি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকেও মিলল না কোনও রফাসূত্র।
শুক্রবার দুপুরে মিডলটন স্ট্রিটে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা বৈঠক শেষ পর্যন্ত নিষ্ফলা। বৈঠকে নিজেদের দাবিগুলোই আর একবার তুলে ধরেছিল লাল-হলুদ। ইনভেস্টরের দেওয়া পরিমার্জিত চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের কোন বিষয়গুলো ক্লাবের কাছে গ্রহণযোগ্য, কোনটা বাতিল করছেন তাঁরা, তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন কর্তারা। বৈঠক চলাকালীনই বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগও করে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীরা। কিন্তু পরিমার্জিত চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের প্রতিটি বিষয় নিয়েই অনড় থেকে গিয়েছে ইনভেস্টর। ক্লাবও নিজেদের অবস্থান থেকে একচুল সরতে নারাজ।
যদিও চুক্তি মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীদের যা যা জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, তা ইনভেস্টরের কাছে পেশ করা হবে। সেই মতো আলোচনা চালাবে। তারপর ক্লাবকে ইনভেস্টরের উত্তর জানিয়ে দেবে চুক্তি মধ্যস্থতাকারীরা।
চব্বিশ ঘণ্টা আগেও যা মনে হয়েছিল, চব্বিশ ঘণ্টা পর তা সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। দুপুরের বৈঠকে কোনও রফাসূত্র না মেলায় এ দিন সন্ধেয় ক্লাবের কার্যকরী কমিটির বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। পড়শি ক্লাব এএফসি কাপে দুরন্ত খেলছে। মহমেডানও কলকাতা লিগে দাপট দেখানো শুরু করেছে। ক্লাব-ইনভেস্টর চুক্তি জট, মিটিং-সিটিংয়ে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল ভবিষ্যৎ অন্ধকারে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার জোড়া বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, সমস্যা কি আদৌ মিটবে?