বেঙ্গালুরু: বর্ষসেরা ফুটবলা, উঠতি প্রতিভা, সেরা কোচ ঘোষণা করল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। মুম্বই সিটি এফসি তথা জাতীয় দলের উইঙ্গার লালিনজুয়ালা ছাংতে বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন। ২৬ বছর বয়সি ছাংতে মিজোরামের। ২০১৬ সালে জেজে লালপেখলুয়ার পর মিজোরামের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন। তাঁকে অবশ্য কড়া টক্করে পড়তে হয়েছিল। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ছাংতের পাশাপাশি বর্ষসেরা ফুটবলারের দৌড়ে ছিলেন নন্দকুমার এবং নাওরেম মহেশ সিং। শেষ অবধি জিতে নিলেন ছাংতে। গত বছর দেশের হয়ে এক ডজন ম্যাচ খেলেছিলেন ছাংতে। দুটি গোল এবং একটি অ্যাসিস্টও রয়েছে। ক্লাব ফুটবলে মুম্বই সিটির হয়ে অনবদ্য পারফর্ম করেছেন ছাংতে। গত বারের আইএসএলে লিগ শিল্ড জিতেছে মুম্বই। ২২ ম্যাচে ১০টি গোল এবং আধডজন অ্যাসিস্ট।
বর্ষসেরা উঠতি ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন আকাশ মিশ্র। ২১ বছরের এই লেফ্ট ব্যাক এ বার খেলবেন মুম্বই সিটি এফসির হয়ে। গত মরসুমে হায়দরাবাদ এফসিতে ছিলেন। তাদের ১০ ম্যাচে ক্লিনশিট রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল আকাশের। জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেছেন আকাশ।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিচারে বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতলেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। ওডিশা এফসিতে অনবদ্য সাফল্য। জোসেফ গোম্বাউ দায়িত্ব ছাড়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব সামলান ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। তাঁর কোচিংয়ে হিরো সুপার কাপ জিতেছিল ওডিশা এফসি।
মেয়েদের ফুটবলে বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন মণীষা কল্যাণ। ২১ বছরের এই ফরোয়ার্ডের সঙ্গে বর্ষসেরার দৌড়ে ছিলেন দালিমা ছিবার ও সুইটি দেবী। টানা দ্বিতীয় বার বর্ষসেরা হলেন মণীষা। উঠতি প্রতিভার সম্মান ১৬ বছরের ফরোয়ার্ড শিলজি শাজির। অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় দলের খেলেন তিনি। এ বছর অনূর্ধ্ব ১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আটটি গোল করে সর্বাধিক স্কোরার হয়েছেন। মহিলাদের ফুটবলে বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতলেন প্রিয়া পরাথি ভালাপিল। অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলের কোচ প্রিয়া।